রবিউল, কক্সবাজার প্রতিনিধি॥ রোহিঙ্গা সমস্যা যে শুধু বাংলাদেশের না কিন্তু নয় বরং এই সমস্যা এখন ছড়িয়েছে সমগ্র বিশ্বে। আর এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ব নের্তৃত্ব এখন এই সমস্যার সমাধান নিয়ে ভাবছে। কেউ কেউ এগিয়ে আসছে সহযোগীতার আশ্বাস নিয়ে। আর আসার এবং সহযোগীতার মধ্যমনী এখন বাংলাদেশ এবং এদেশের প্রধানমন্ত্রী। আমাদের প্রধানমন্ত্রী যা করেছেন এবং করে যাচ্ছেন তার স্বীকৃতিও তিনি বিশ্ব দরবার থেকে পেয়ে যাচ্ছেন। রোহিঙ্গাদের জন্য শেখ হাসিনার সরকার যা করছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয় বলে মন্তব্য করেছেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিন এরদোগান। তিনি জানিয়েছেন, রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশে তুরস্কের সহায়তা অব্যাহত থাকবে। বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালংয়ে রোহিঙ্গাদের নিবন্ধিত ক্যাম্প ও অস্থায়ী ক্যাম্পগুলো পরিদর্শন করে তিনি এ মন্তব্য করেছেন। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেনটো মারসুদি ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী।
মিয়ানমারে অব্যাহত নির্যাতনের কারণে বাংলাদেশে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের অবস্থা সরেজমিনে পরিদর্শন করতে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা থেকে কক্সবাজারে পৌঁছান তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিন এরদোগান ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেনটো মারসুদি। এরপর তারা দুপুর দেড়টার দিকে উখিয়ার কুতুপালংয়ে পৌঁছে রোহিঙ্গাদের নিবন্ধিত ক্যাম্প ও অস্থায়ী ক্যাম্পগুলো পরিদর্শন করেন। কাদামাটিতে প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা পায়ে হেঁটে ক্যাম্পগুলো সরেজমিনে দেখেন তারা। এসময় রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুদের সঙ্গে তারা কথা বলেন এবং তাদের দেশত্যাগের কারণ, দুর্ভোগ, নির্যাতনের বর্ণনা ইত্যাদি শোনেন।
টানা দেড় ঘণ্টার এই পরিদর্শন শেষে সংবাদকর্মীদের মুখোমুখি হয়ে তুরস্কের ফার্স্ট লেডি বলেন, রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ যা করছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। এই মানবিক বিপর্যয় থেকে রোহিঙ্গাদের রক্ষা করতে তুরস্ক বরাবর বাংলাদেশের পাশে থাকবে। রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশে তুরস্কের সহায়তা অব্যাহত থাকবে।
এসময় তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী রেনটো মারসুদি বলেন, রোহিঙ্গারা অত্যন্ত অমানবিক পরিস্থিতির মধ্যে রয়েছে। বাংলাদেশ রোহিঙ্গাদের জন্য যা করছে সেজন্য তুরস্কের পক্ষ থেকে ধন্যবাদ। তুরস্ক রোহিঙ্গাদের সহায়তায় বাংলাদেশের পাশে থাকবে। ভবিষ্যতেও এ সমর্থন অব্যাহত থাকবে।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলো পরিদর্শন শেষে তারা নিজস্ব বিমানে ঢাকায় ফিরে আসছেন। গত সন্ধ্যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলীর সঙ্গে বৈঠক করেন তুরস্কের ফার্স্ট লেডি এমিন এরদোগান ও দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
উল্লেখ্য, গত বুধবার দিবাগত গভীর রাতে তারা নিজস্ব বিমানে ঢাকায় পৌঁছান। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে তারা কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এদিন বেলা ১২টার দিকে তারা কক্সবাজার পৌঁছান। সেখান তাদের স্বাগত জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী। এরপর তারা কুতুপালং ক্যাম্পের দিকে রওনা দেন। পরে বেলা দেড়টার দিকে ক্যাম্প পরিদর্শন শুরু করেন তারা।