গোয়েন্দারা খুঁজে পেয়েছেন ‘লন্ডন ষড়যন্ত্র’

চৌধুরী কামাল ইকরাম॥ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি হঠাৎ করেই উত্তপ্ত হয়ে উঠতে পারে। একই সঙ্গে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থাও ভয়াবহ পরিস্থিতির শিকার হতে পারে। বাংলাদেশ নিয়ে এমনই উদ্বেগ জানিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। এর আগে একই রকম উদ্বেগ জানিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র ও ইইউ। তাদের এমন উদ্বেগের পেছনের কারণ হিসেবে দেশের গোয়েন্দারা খুঁজে পেয়েছেন ‘লন্ডন ষড়যন্ত্র’। উদ্বেগ জানানো দেশগুলোর কাছে এই বিষয়ে যথেষ্ট তথ্য আছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দারা।

goenfdara haleda london sorojontra found
একাধিক গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক জিয়া বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের নীলনকশা করেছেন। বাংলাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে তারেক অন্তত চারটি জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, যার একটি মিয়ানমারের উগ্রবাদী সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)।
আরসার শীর্ষ পর্যায়ের কয়েকজন নেতার সঙ্গে লন্ডনে বৈঠক করেছেন তারেক জিয়া। সংগঠনটিকে বড় অংকের অর্থ দিয়েছেন তিনি। রোহিঙ্গাদের ঢলে বিপুল সংখ্যক আরসা সদস্যও বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছে। এই অরসা সন্ত্রাসীরা তারেকের অর্থের বিনিময়ে বাংলাদেশের বড় আকারে সহিংসতার পরিকল্পনা করছে।
আরসা ছাড়াও দেশের মধ্যে গোপনে কাযক্রম চালিয়ে যাওয়া তিনটি জঙ্গি সংগঠন লন্ডন ষড়যন্ত্রে যুক্ত হয়েছে। এই সংগঠনগুলো দেশের ভেতরে ভয়াবহ হামলার পরিকল্পনা করছে। বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থাপনায়ও হামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। জঙ্গিরা আত্মঘাতী হামলাও করতে পারে।
চলতি মাসেই ২১আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়  হতে পারে। এই হামলার অন্যতম আসামি তারেক জিয়া। মামলার রায়ের পরিপ্রেক্ষিতে দেশজুড়ে হামলা করতে পারে জঙ্গিরা। এমনই আশঙ্কা গোয়েন্দাদের।
একজন দায়িত্বশীল গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানিয়েছেন, সম্প্রতি গ্রেপ্তার হওয়া বিমানের পাইলট সাব্বির এনাম কয়েকজন জঙ্গির সহযোগিতায় বিমান ছিনতাই করে গণভবনের ওপর আছড়ে ফেলার পরিকল্পনা করেছিল। নব্য জেএমবির এই হামলার পরিকল্পনা লন্ডন ষড়যন্ত্রেরই অংশ বলে মনে করছেন তারা।
ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, জঙ্গি সংগঠনের হামলার পরিকল্পনা নস্যাৎ করতে তারা সবসময়ই তৎপর। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে একের পর পর অভিযান পরিচালনা করছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পরিকল্পনা নস্যাৎ হচ্ছে জঙ্গিদের।
লন্ডনে ষড়যন্ত্রের নীলনকশা অনুযায়ী জঙ্গিদের পরিকল্পনা ব্যর্থ করতে গোয়েন্দা তৎপরতা আরও বাড়াতে হবে। আইশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দাদের আরও সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে বলে মনে করেন ওই গোয়েন্দা কর্মকর্তা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.