দুর্নীতির শীর্ষে ভূমি অফিস

আবদুল আখের। দুর্নীতির শীর্ষে অবস্থান করছে উপজেলা ভূমি অফিস। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে পল্লী বিদ্যুৎ আর তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে রাজউক। এছাড়া পর্যায়ক্রমে রয়েছে- সেটেলমেন্ট অফিস, সাব-রেজিস্ট্রি অফিস, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, বিআরটিএ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস, উপজেলা মৎস্য অফিস ও সমাজসেবা কার্যালয়।

Corraption in land office
গত রোববার প্রকাশিত ট্রান্সপারেন্সি ইন্টান্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) গবেষণা প্রতিবেদনে এমন চিত্র উঠে এসেছে। টিআইবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুদকের গণশুনানিতে ৭৮ শতাংশ অভিযোগ সমাধানে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হচ্ছে। ২২ অভিযোগ আমলে নেওয়া হচ্ছে না। আমলে নেওয়া অভিযোগের মধ্যে ৭৩ শতাংশ সমাধান হচ্ছে না। ২৭ শতাংশ অভিযোগ নিষ্পত্তি করা হলেও তা পুরোপুরি কার্যকর হয় না। তার মধ্যে ভূমি সংক্রান্ত অভিযোগ অতিমাত্রায়। ভূমি সেবা সংশ্লিষ্ট অভিযোগ ৬৭ শতাংশ আর সেবাবিষয়ক অভিযোগ ৩৩ শতাংশ রয়েছে।
Corraption in land office statistics
২০১৪ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৬ সালের জুন পর্যন্ত দুদক বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের গৃহিত মোট ৩৫টি গণশুনানির আয়োজন করে। এসব গণশুনানির ফলে সমস্যা সমাধান, অভিযুক্ত ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা ও পরবর্তী পরিস্থিতির ওপর টিআইবি গবেষণা চালায়। গবেষণার মেয়াদকাল উল্লেখ করা হয়েছে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত।
উক্ত গবেষণা প্রতিবেদন প্রণয়ন করেন, টিআইবির সিনিয়র প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. ওয়াহিদ আলম, প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. রেজাউল করিম ও ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার মো. শহিদুল ইসলাম। অভিযোগ উত্থাপনকারী ১৯৫ জনের অভিযোগ আমলে নিয়ে এই গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘দুদকের গণশুনানির ফলে সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে এক ধরনের জবাবদিহিতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে করে মানুষের মধ্যে কিছুটা আস্থা তৈরি হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘গণশুনানি দুর্নীতি দমনের একটি হাতিয়ার। এসব শুনানি ধরে যদি সব ঘটনাকে ধারাবাহিকভাবে ফলোআপ করা যায়, তাহলে কার্যকর ফলাফল পাওয়া যাবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published.