ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে হিন্দু গ্রামে ব্যাপক ভাঙচুর-মারধর এলাকাবাসীকে

hindo temple attack in rangpurইমানুল ইসলাম॥ ধর্মীয় অবমাননা। বাংলাদেশের রংপুরের গঙ্গাচড়ায় হিন্দু গ্রামে হামলার অভিযোগ এক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে একজনের মৃত্যুর অভিযোগ। পুলিশের রংপুর রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বিবিসি বাংলাকে জানান, যার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ তোলা হচ্ছে সেই ব্যক্তি গঙ্গাচড়ার ঠাকুরতাড়ি গ্রামে হলেও তিনি সেখানে থাকেন না। নারায়ণগঞ্জে বসবাস করেন। পুলিশ জানায়, ফেসবুক পোস্ট নিয়ে সেখানে কদিন ধরে উত্তেজনা চলছিল। কয়েকদিন আগে তথ্য প্রযুক্তি আইনে এই নিয়ে একটি মামলাও করা হয়। স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশ আসামীকে ধরা হবে বলে কথা দেন।
ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, “গত শুক্রবার নামাজের পর হঠাৎ স্থানীয় কিছু মানুষ বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিল নিয়ে এসে রাস্তা অবরোধ করেছে। একটি মিছিলের বড় অংশ গিয়ে হিন্দু পাড়ায় আক্রমণ করে। হিন্দু পাড়ার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ তখন বাধা দেয়। বাধা না মেনে যখন তারা দুএকটি বাড়ি-ঘরে আগুন দেওয়ার চেষ্টা করে, তখন পুলিশ শটগানের গুলি চালায়।” খন্দকার গোলাম ফারুক জানান, পুলিশের গুলিতে একজন নিহত এবং কয়েকজন আহত হন বলে তারা খবর পাচ্ছেন। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক। তিনি জানান হামলাকারীদের সংখ্যা ছিল কয়েকশো।
যার কথিত ফেসবুক পোস্টের সূত্র ধরে এই ঘটনা, সেটি আসলেই তার কিনা, জানতে চাইলে ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, “সেই তদন্তের সুযোগ তো আমাদের দেওয়া হয়নি। আমরা মামলা নিয়েছি। এখনও তদন্ত চলছে। আসামী গ্রেফতারের জন্য নারায়ণগঞ্জে লোক পাঠানো হয়েছে। তাকে ধরা গেলে, ফেসবুক বিশ্লেষণ করলে তার পর বিস্তারিত জানা যাবে।”
উল্লেখ্য ফেসবুকে ধর্মীয় অবমাননার অভিযোগ তুলে সংখ্যালঘুদের গ্রামে হামলার এরকম ঘটনা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরও ঘটেছে। ২০১২ সালে কক্সবাজারের রামুতে এক বৌদ্ধপল্লীতে একই অভিযোগ তুলে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। আর গত বছর ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে অনেকটা একই কায়দায় একটি হিন্দু পল্লীতে হামলা চালানো হয় একই ধরণের অভিযোগ তুলে।
তথ্যসূত্র- বিবিসি বাংলা (প্রতিবেদনটি পরিবর্তন করা হয়নি)

Leave a Reply

Your email address will not be published.