বর্তমানে রাজনীতির মাঠ দলখ করে রেখেছেন উম্মাদ আর পাগল এর প্রলাপ বকা মানুষগুলো। রাজনীতি এখন যে পর্যায়ে গিয়ে ঠেকেছে তা উন্মাদের উন্মাদনা ও পাগলের পাগলামী থেকে বের হয়ে আরো কোন কঠিন শিরোনামহীন গহীন অন্ধকারের তলানীতে দোলা খেয়ে যাচ্ছে। তাদের চেহারা এবং মুখের ভঙ্গি ও কথার ফুলঝুড়ি যেন হাসির খোরাক জুগিয়ে আরো নতুন কিছু মাত্র। এই পাগলগুলো দেশে ও বিদেশে তাদের বেসামাল জ্ঞানহীন কথাবার্ত বাতলিয়ে যাচ্ছে। তাদের কথা বার্তা শুনে বড় মায়া হয় এই ক্ষমতালোভী মাতালগুলোর জন্য। আরো মায়া হয় যে সকল মস্তিষ্ক ও মগজবীহিন মানুষগুলো ঐ পাগলগুলোর পাগলামীর উপকরণ হয়। কেন পাগলের পাগলামীতে শরীক হয় তা বোধগম্য নয়। তবে একটি বিষয় লক্ষনীয় যে, নির্বাচনের পূর্বে দরকষাকষির যে প্রচলন ছিলো তা আর এখন নেই, এখন আছে শুধু কষাইখানার করায়ত্ব ও বস্তির নোংরামি খেলা যা ব্যাশ্যার বেশ্যাবিত্তিকেও হারা মানায়। সবই এখন দৃশ্যমান আর এই দৈন্যদশা দেখে ঘৃণায় পর্যবসীত হচ্ছেন আমাদের স্বনামধন্য জ্ঞানী ও গুণীজন যারা রাজনীতির মাঠে গলা ফাটিয়ে নিজেদেরকে এখন শুন্যের কোটায় নামিয়েছেন।
এইতো দুইদিন আগেই কুষ্টিয়ার জনসভায় জনাব ইনু সাহেব যা বলে শুনালেন তা আর লুকানোর কোন উপায় রাখলেন না। তিনি তার অতীতে ফিরে গিয়ে যে দাম্বিকতা প্রকাশ করেছেন তা খুবই লজ্ঝার ও দু:খের। তবে কয়লা ধুইলে ময়লা যায় না। তার প্রমান তিনি নিজেই রাখলেন। যে ভাষায় তিনি কথা বললেন তা সত্যিই একবাক্যে চমৎকার। তবে সত্যি হলো তার বক্তব্যের সম্পূর্ণ উল্টো। কারো উপকার করে বা দয়া দেখিয়ে খুটা দেওয়া বা মানুষের দরবারে বলে বেড়ানো সামাজিক রীতিতে বেমানান; তাই হয়ত দয়ার কারিঘর, দাখ্যিণ্যের ভান্ডার ও দেশবাসীর আশ্রয় এবং আশার স্থল নির্বাক দৃষ্টিতে ভালবাসা ও সহমর্মিতা প্রকাশ করে যাচ্ছেন। আমরা জনতা হয়তো বলতে পারি জনাব ইনু সাহেব আপনি কিন্তু কৃতকর্মের ফল ভোগ করেন নি এখনও। আর যা বলেছেন ভেবে বলেছেন কি? আপনি ও আপনার দলতো বাংলাদেশের কেন অঞ্চলেই অন্তত একজনকেও নির্বাচিত করে আনার ক্ষমতা রাখেন না। বরং আপনার নির্বাচনি এলাকায় অতীতে আপনার ভোট ছিল ২০,০০০ হাজার আর এখন এর সংখ্যা কমে দাড়িয়েছে ১৮০০০ হাজার। যেখানে আপনারই এই করুন অবস্থা সেখানে কিভাবে আপনি এই দাম্বিক এবং মিথ্যা প্রকাশ করলেন। ছি: ছি: এই বুঝি আপনাদের সততা এবং রাজনীতির দৃষ্টান্ত। আপনার রাজনৈতিক ডায়লগ এবং যুগোপযোগী সকল ইতিবাচক বক্তব্যের মৃত্যু ঘটিয়ে আপনি এখন সেই তারেক সমতুল হলেন তা ভাবতে আমার কষ্ট লাগে।
তারেক প্রসঙ্গে বলতে হয় তিনি বনানী রেল লাইনের বস্তিতে বেড় উঠা শৈশবের শিক্ষায় শিক্ষীত। তাই তিনি তার সকল কর্মকান্ডই পরিচালিত করে ঐ বস্তির শিক্ষায় এবং তাঁর গর্বধারীনি মায়ের কুকর্ম ও অসামাজিক ধর্মীয় কাজের ফলনির্ভরতা দিয়ে। তিনি পালিয়ে বেড়াচ্ছেন আর উপভোগ করে যাচ্ছেন সকল বেহেস্তী হুর নির্বর শান্তি। তিনি দলে ও দেশে সৃষ্টি করেছেন এবং করে যাচ্ছেন অশান্তি। কারন একটাই তিনি সকল ক্ষমতার কেন্দ্রে পৌঁছতে চান। তার উদ্দেশ্য হলো এই দেশটাকে জুয়া এবং মদের আসরে বসিয়ে যুবসমাজকে নেশাগ্রস্ত করে সকল কিছু হানিয়ে নিয়ে রাজ সিংহাসনে বসে বাদশাহী করার। কিন্তু বাধ সাধে বিশ্ব এবং এই দেশের উদীয়মান তরুন সমাজ। পুরানের নতজানুতা এবং বশ্যতা স্বিকারে তাদের শাসনামলে দেশ খাদের কিনারায় পৌঁছেছিল যা এখন দেশবাসীসহ পৃথিবীর সকলেরই জানা। একজন অশিক্ষিত মুর্খ না হলে কিভাবে এই পাগলামি করে। জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব কে সে বলে শেখ মুজিব এবং বর্তমান প্রধান মন্ত্রীকে সে বলে হাসিনা। আমার প্রশ্ন এই গর্ধব যে কিনা তার মা, বাবা ও জন্ম পরিচয়কে অস্বিকার করে পারিবারিক শ্রদ্ধা ও সম্মান, আদব কায়দা শিখে নাই এমনি অন্য সম্মানীত ব্যক্তিদের সম্মান দিতে জানে না তার সঙ্গে কার বসবাস?
ইদানিং পলাতক স্বীকৃত চোর এবং দুর্নীতিবাজ খুনি তারেক জিয়া সোস্যাল মিডিয়ায় ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে শিক্ষকের ভূমিকায় দেখা যায়। ঐ দেখার সময় তার চেহারা, হাব ভাব ও আচরন এবং কতাবার্তায় একবাক্যে নিজেকে উল্লেখিত উপাধিগুলোতে খাপে খাপ বাস্তব চরিত্র হিসেবে উপস্থিত ও পরিচিত করে থাকেন। ইদানিং সাংবাদিকদেরও অসম্মান করেছেন। তবে এতে প্রকৃত সাংবাদিক এবং সংবাদ মাধ্যম মুটেও অসম্মানিত হয়নি। হয়েছে তার আজ্ঞাবহ এবং অর্থগ্রহণকারী হলুদ সাংবাদিকগণ; যিনারা কিনা তারই মত যোগ্যতায় পরিপূর্ণ। এইসকল সাংবাদিক ও ভদ্ররুপী তারেক লেবাসী মানুষদের জন্য আমার মায়া হয় কারণ আমি চায় আশরাফুল মাকলুকাত হিসেবে আমরা সবাই নিজেদেরকে সুপ্রতিষ্ঠিত করি। কোন খারাপ মানুষের খারাপ উদ্দেশ্য চরিতার্থ করতে গিয়ে নিজেদেরকে আর নীচে না নামায়। কথায় আছে সৎ সঙ্গে সর্গবাস আর অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ। এখন ঐ সকল লোকদের হয়েছে তায়। তবে মিডিয়া সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আমার বিনীত আহবান এই জঘন্য প্রকৃতির মানুষদের নিয়ে আর কোন সংবাদ প্রকাশের প্রয়োজন নেই। কারণ এদের সংবাদ প্রকাশ মানেই আমাদের মিডিয়ার পরাজয়। হ্যা অপেক্ষা করুন ওদের ষড়যন্ত্রের সংবাদ প্রকাশ করুন এবং দেশ ও জনতাকে এগিয়ে যেতে সহযোগীতা করুন। আর ঐ নোংরা এবং ঘৃণ্য মানুষদের সংশোধন হতে সহযোগীতা করুন। সংশোধিত জীবন যাপনের কাহিনী অবলম্বনে সংবাদ পরিবেশন করুন। যাতে আগামীতে আরো মানুষ সংশোধনে উৎসাহি হয়।
সিলেট বাহুবলে যে ঘটনা ঘটলো তা কিন্তু আমাদের ডিজিটাল বাংলাদেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির সঙ্গে মানায় না। মহিলা সংসদ কেয়া চৌধুরী তিনি সৎ এবং নির্ভিক সৈনিক ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কর্মী বা বার্তাবাহক। তার উপর হামলা এবং হুমকি ধমকি প্রকারান্তরে প্রধান মন্ত্রীর উপর বর্তায়। যে প্রধানমন্ত্রীর আদেশ ও নির্দেশ পালন করতে পারে না সেই লোকজনদের দলীয় পরিচয় নিয়ে মাঠে থাকার প্রয়োজন নেই। মা-বোনের ইজ্জত এবং দলীয় সকল কর্মী ও সমর্থকদের ইজ্জ্বত রক্ষা করাই এখন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের চ্যালেঞ্জ। কেয়া চৌধুরীর উপর হামলার দ্রুত বিচার হউক এবং যারা এই ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রমুলক আক্রমনের সঙ্গে যুক্ত তাদের দলথেকে বহিস্কার বা দলীয় শৃঙ্খলায় ফিরিয়ে আনতে কাউন্সিলিং এর ব্যবস্থা করা হউক। কেয়া চৌধুরীকে যোগ্য সম্মানে সুপ্রতিষ্ঠিত করা হউক। যাতে জনতা প্রধানমন্ত্রীর দেয়া সকল ভালবাসা উপভোগ করতে পারেন। এই ধরণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যে বাংলাদেশের আর কোন স্থানে না হয় সেই ব্যবস্থা নেয়া হউক। প্রশাসন যন্ত্রকে আরো সজাগ হয়ে কাজ করার আহবান জানাই।
নভেম্বর মাস আমাদের কাছে আরো একটি কলঙ্কের মাস। এই মাসেই কারাঅন্ধকারে জাতীয় চার নেতার হত্যা এবং মুক্তিযোদ্ধ সিপাহী জনতা বিশেষ করে আর্মী, নেভি, বিমান বাহিনীর সৈন্য ও অফিসারদের জীবন কেড়ে নেয়ার মত কলঙ্কজনক অধ্যায় সুচিত হওয়া। একজন ঠান্ডা মাথার খুনির আবিস্কার। পাকি দুসর মেজর জিয়া দেশকে পাকিস্তানের প্রবিন্স বানিয়ে অন্ধকার জগতকে সামনে এনে কাজ করার শুরু ১৫ই আগষ্টের পর ৭নভেম্বরের মাধ্যমে পাকাপোক্য করেছিল মাত্র। আর এই অন্ধকারের পরিস্থিতি ও পরিবেশে জাতিকে নিমজ্জিত করার ভুমিকায় আমাদের মন্ত্রী ইনু সাহেবদেরও হাত ছিল। আর এই নবেম্বরেই নূর হোসেনরা জীবন দিয়েছিল। গততন্ত্র দিবস প্রকারান্তরে নূর হোসেন দিবসে পরিণত হলো। কি অদ্ভুদ দৃশ্যায়ন এবং ঐ দৃশ্যায়নের পুনরাবৃত্তির জন্য এখনো সেই পরাজিত শক্তি এবং এর দোসররা কাজ করে যাচ্ছে।
কে কাকে ক্ষমা করে… পাগলের পাগলামীর একটি সিমা আছে কিন্তু খালেদা জিয়ার ক্ষেত্রে সেই সিমা এখন অতিক্রান্ত। তিনি ক্ষমতার জ্বরে ভুগছেন। ওনার আরজরা ভাব নিয়ে আর কতদিন দুগর্ন্ধ ছড়াবেন। তিনি নাকি প্রধানমন্ত্রীকে ক্ষমা করেছেন….. আচ্ছা ওনারকি আর কিছু বলার নেই? ক্ষমাতো দরকার ওনার…..সময় আছে কবরে যাওয়ার আগে শেষ তৌবাটুকু অন্তত করুন এবং তারপর শেষ বিচারের মুখোমুখি হউন। দেখুন ক্ষমা পান কিনা। সময় আছে কুটচাল বন্ধ করুন কারন প্রত্যেকটি কুটচাল এবং পরিকল্পনা ভেস্তে যাচ্ছে তাই এই চালের মধ্যদিয়ে আরো বিপদের দিকেই যাচ্ছেন; বের হয়ে স্বাধীন ও মুক্ত জীবনের স্বাদ নিতে প্রস্তুত হউন। ছেলেকে আর দলে টানবেন না কারণ দেশ ও দলের নেতাদের জীবনের যে বারোটা বাজিয়েছেন সেই বাজানোতে ভাটার সময় আর জোয়ার আশা করা যায় না। তাই আপনার পরন্ত যৌবনে আর নতুন করে কি স্বাধ নিবেন? সবইতো নিয়েছেন এখন অন্যদেরকে একটু স্বাধ নিতে সুযোগ করে দিন যাতে আপনার অনুশোচনার সুযোগ আসে। হারানোর আপনার কিছুই নেই কারণ আপনি নিজের যৌবন ও সুখলিপ্সায় মত্ত এখনও। হারিয়েছেন স্বামী, মা, বোন, ভাই এবং সর্বোপরি অবৈধ ঔরষজাত সন্তানকেও। কিন্তু কি কোন পরিবর্তন আপনার মাঝে উকি দিয়েছে? না দেয়নি এবং দিবেও না কারণ আপনার মনুষত্য ও বিবেক অনেক আগেই ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু খোলস নিয়ে অন্যের পরামর্শেই হাটছেন। আপনার যারা বন্ধু ও মঙ্গলকামী এমনকি কল্যাণের পরামর্শক ছিলেন সেই তারাও আজ আর আপনার সঙ্গে নেই। তাই এখন হতাশা ও পাগলের প্রলাপ বকা ছাড়া কোন উপায় অবশিষ্ট নেই আপনার।
ভাঙ্গা সুটকেস ও ছাতা থেকে যে পাহাড়সম সম্পদের হিসাব বাতাতে ভেসে ভেড়াচ্ছে তা কিন্তু বাংলাদেশের কোন রাজনৈতিক বা সংস্থা প্রকাশ করেনি। করেছে বিদেশী মাধ্যম এবং আন্তর্জাতিক বিশ্বাসযোগ্য সংস্থাগুলো। এই সম্পদের উপর দাড়িয়ে এখন আর কি প্রয়োজন? কারণ ফেরাউনের সবই ছিল কিন্তু কি ফেরাউন সন্তষ্টু ছিল? ছিল না আর তাই ফেরাউনের কি পরিণতি হয়েছিল তা ইতিহাসের মাধ্যমে আমরা সবাই জানি। সেই ইতিহাসের পুনরাবৃত্তিÍ হউক সেটাও আমরা চাই না। আমরা সকলের মঙ্গল চাই এবং খারাপি থেকে ফিরিয়ে আনতে প্রচেষ্টা চালাই মাত্র।
সৌদি সরকারে যে অস্থিরতা তা কিন্তু পবিত্র স্থানের সঙ্গে যায় না। এই অপরাধ এবং অপরাজনীতি সৌদিকে পিছনেই নিবে না বরং পবিত্র নগরীর সকল অর্জন ধুলিসাৎ করে দিবে। সৌদি কর্মকান্ডের ফল কিন্তু মুসলিম বিশ্বকেও ভোগাবে। তাই সময় থাকতে মুসলিম ওম্মার উচিত সৌদি রাজপরিবারের শৃঙ্খলায়ন এবং পবিত্র নগরী ও ভুমি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত জায়গাকে রক্ষায় ঝাপিয়ে পড়া। পৃথিবী এক নতুন লক্ষ্য ও দিগন্তের দিকে এগুচ্ছে। আর এই লক্ষ্য ও দিগন্তের মহামিলনে ফিরে আসবে সাম্য, ন্যায্যতা এবং ক্ষমা ও চিরস্থায়ী শান্তির নিশ্চয়তা। দেখা যাক শেষ ফল কিভাবে বিশ্বকে শান্তিতে রূপায়ন করে।
আমাদের এই সরকারের অর্জন অনেক যা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। তবে সরকারের অর্জনের পাশে রয়েছে শততা ও শৃঙ্খলা এবং আগামীর দেখানো আশা। কিন্তু দলীয় ঐক্যে নেই কোন অর্জন। বরং ঐক্য বিনষ্ট হয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয়ে সফল সরকারের অর্জনগুলিকে ধলিত ও মথিত করে যাচ্ছে। দলীয় ঐক্যের জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং আগামীর নেতা ডিজিটাল স্বপ্নের দ্রষ্টা সজিব ওয়াজেদ জয় এখনই ভুমিকা রাখতে হবে। নতুবা সামনে ঝুকিপূর্ন অবস্থায় দাঁড়াতে হবে। লোভী ও অভিমানী এমনকি পদবঞ্চিত নেতাদের একত্রিত করতে হবে দলীয় শৃঙ্খলায় ফিরিয়ে আনতে হবে। দলের চেইন অব কমান্ড পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করতে হবে। তাহলেই আগামী ৪১পর্যন্ত দেশকে নেতৃত্ব দিয়ে উন্নত বিশ্বে উন্নত দেশ হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত করা যাবে। এখন হাতে অল্প সময় আর এই অল্প সময়েই বৃহৎ কাজটুকু শেষ করতে হবে।
বিচারপতি সিনহা যে ধু¤্রজাল সৃষ্টি করেছিলেন তার অবসান হয়েছে। তিনি অসুস্থ্য এর প্রমান ইনিই মিডিয়ার মাধ্যমে প্রকাশ করলেন। তিনি গেলেন অষ্ট্রেলিয়া এবং চিকিৎসার জন্য আসলেন সিঙ্গাপুর। তিনিতো অসুস্থ্য এবং তিনার আবেদন ও সরকারের মন্ত্রী আনিছুল হকের বক্তব্য সঠিক। দ্বিতীয়ত তিনি একটি চক্রের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন আর সেই চক্রের চক্রান্তও ফাস করলেন। এখন চোখের ও কানের পর্দাভারী লোকদের পর্দা ফাটানোর দায়িত্ব আমাদের মিডিয়ার। যাতে তারা দেখতে ও শুনতে পায় এবং পরিস্কারভাবে চিনতে পারে ষড়যন্ত্রকারীদের। আমার মনে হয় সিনহাকে নিয়ে আর কারো দ্বিমত নেই যে, তিনি অযোগ্য এবং তাঁর হাতে আর প্রধান বিচার পতির দায়িত্ব দেয়া যায় না। তিনি এখন সিঙ্গাপুর থেকে অষ্ট্রেলিয়া হয়ে কানাডার পথে। কানাডায় স্থায়ী হতেই তার এই যাত্রা। কি চমৎকার এই দৃশ্য। জাতির মীরজাফরদের শেষ পরিণতি কি এই হয়? আর ইতিহাসতে এই শিক্ষাই দেয় বার বার। কেন আমরা শিক্ষা নেয় না?
রাজনীতিতে যে পাগলের প্রলাপ বকা চলছে, এর অবসানকল্পে এখনই এগিয়ে আসার সময়। আসুন আমরা যার যার অবস্থান থেকে এই প্রলাপ বকা মানুষদেরকে আলাদা করি এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করি। সচেতন হই যাতে এই প্রলাপ বকা মানুষগুলো আর আমাদের অভিভাবকের দায়িত্ব নিতে না পারে। কারণ আমাদের সামনে অনেক সুযোগ এবং এই সুযোগকে কাজে লাগাতে লক্ষ্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছতে হবে। হিসেব নিকেশে যেন আর ভুল না করি তাই এখন থেকে সচেতন হতে হবে। কারণ এই রাজনীতিবিদদের মাধ্যমেই আগামী দিনে এই উন্নয়নমূখী দেশ পরিচালিত হবে। রাজনীতির পাগলের প্রলাপ বকা ফরমালিন এখন থেকেই ধৌত করার কাজে নিয়োজিত হতে হবে। আসুন আমরা আমাদের ঐক্যে সূদৃঢ় অবস্থান তৈরী করি এবং রাজনীতি থেকে পাগলের প্রলাপ বকা লোকদের বিতাড়িত করি।