উন্নয়ন এবং সম্ভাবনা ও প্রশংসা একসুত্রে গাঁথা

Vector-Smart-Objectবর্তমানে তিন অর্থবোধক শব্দ মিলে একটি নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে; আর এই যোগ হওয়াটা এসেছে এই বাংলাদেশের চলমান প্রেক্ষাপটের আলোকে। উন্নয়ন এবং সম্ভবনা ও প্রশংসা একিভুত হয়েছে। একসূত্রে গেঁথে আবদ্ধ হয়েছে নতুন এক শব্দমালার। আর্বিভূত হয়েছে নতুন এক উচ্চতার এবং আগামীর স্বপ্ন বাস্তবায়নের দৃষ্টান্তের ভিত্তিমূলে। বাংলাদেশকে নিয়ে চারিদিকে হৈ হৈ রব পড়েছে; উন্নয়ণে কেউ কেউ ঈর্ষার্নীত হয়েছে। কেউ কেউ আবার এই উন্নয়ন স্তব্ধ করে দেয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠে পড়ে লেগেছে। কিন্তু সবই নিয়তির খেলা এবং বর্তমানের লিলা ও মেলা।
চমকৎপদ বিষয় হলো এই যে, মাঝে মাঝে পরিলক্ষিত হয়; যারা এর বিরোধীতা করে আসছে, সেই তারাই কিনা স্বীকৃতির সর্বোচ্চ শিখর উন্মোচন করে স্বীকৃতি ঘোষণা করে যাচ্ছে। আর সেই স্বীকৃতি আমরা গ্রহন করে অর্জনের ভান্ডার পূর্ণ করি। প্রশংসায় পঞ্চমূখ এবং দিক্ষায় অগ্রগামীকে রেখে নিভৃত্বে আমাদেরকে অনুসরণ করা শুরু হয়েছে। কেউ প্রকাশ করে আবার কেউ গোপনে এই চর্চা চালিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। মজার বিষয় হলো স্বাধীনতা পরবর্তী সরকারগুলো তাহলে কি করেছিল?… যা আজকের এই বিরল সম্মান থেকে পেছনে রেখেছিল? তখন বিভিন্ন লজ্জাজনক উপাধি দিয়ে শীর উঁচু করা জাতীর মস্তকে কুঠারাঘাত করে ভূপাতিত করেছিল? খতিয়ে এবং ভেবে দেখার বিষয় কিন্তু সময় কোথায়? আমাদের হাতে আর অফুরন্ত সময় নেই যে, পিছনে ফিরে গিয়ে সেইসকল অপবাধ এবং কলঙ্কিত ইতিহাসের সন্ধান করার। তবে বর্তমানকে আকঁড়ে ধরে সামনে এগুনোর সময় দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। আর এই সময়কে কাজে লাগিয়ে সামনের দিনের প্রতিযোগীতায় আরো এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয় নিয়ে মনোনিবেশ করাই বাঞ্চনীয়।
এই পৃথিবী এখন গভেষনার ধারে বাংলাদেশ ও এই দেশের প্রধানমন্ত্রীকে সম্মুখ পানে রেখে এগিয়ে যাচ্ছে আগামী বিশ্বের নেতৃত্ব দেয়ার প্রয়াসে। কিন্তু আমরা কি ভাবছি সেই কথা। না ভাবছি না বরং নোংরা এবং কুসংস্কার ও দেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রের সঙ্গেই নিজেদেরকে নিয়োজিত রেখে যাচ্ছি। এটাই সুস্পষ্টই যে, আমাদের দেশ ও দেশের প্রধান মন্ত্রী (যিনি কিনা বর্তমানে বিশ্ব নেতা এবং সম্পদে পরিণত হয়েছেন) তাকে নিয়ে গভেষনা এবং পড়ালেখা দ্রুত লয়ে এগুচ্ছে। এই পৃথিবী বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয় হার্ভার্ড এ তিনটি বিষয়ে গভেষনা ও পড়ানো হচ্ছে শেখ হাসিনা এবং তার দুরদর্শীতা এমনকি উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে। সবচেয়ে ভাবার বিষয় এইযে, যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র পড়ালেখা শেষে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের নেতৃত্ব এমনকি রাষ্ট্র পরিচালনায় নিজেদেরকে নিয়োজিত করে থাকেন; সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া বিষয় এখন বাংলাদেশ ও এই দেশের প্রধান মন্ত্রী। গর্বের বিষয়, আনন্দের বিষয় এবং আমাদের জন্য শিক্ষার বিষয়।
আমার কাছে আচানক লাগে যখন দেখি আমাদের দেশের জ্ঞান ও পন্ডিতেরা এই বিষয়টি নিয়ে ভাবেনও না এমনকি তাদের পান্ডিত্ব ও জ্ঞান গরিমায় স্থানও দেন না। তাহলে এই পান্ডিত্ব ও জ্ঞান গরিমার কি কোন মূল্য রয়েছে? পৃথিবীর জ্ঞান ও গরিমা এবং পান্ডিত্বের কাছে আমাদের দুরদর্শীতা এবং উন্নয়ন ও সম্ভবনা যেখানে প্রশংসায় যুক্ত হয়ে এক সূত্রে গেঁথেছে সেখানে আমাদের কেন কোন হুশ নেই? আমাদেরকে শুধু একজনের উপর ভরসা করে এগিয়ে গেলেই চলবে না বরং এই একজনের দেখানো এবং শেখানো পথে হাঁটতে হবে, শিক্ষা এবং দিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে। তাহলেই আমরা আমাদের এই চলমান ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখতে পারবো। নতুবা ঐ বিশ্বের বর্তমান ছাত্র যারা আমাদেরকে শিখছে তাদের কাছে পড়াভূত হয়ে মাথা নত করতে হবে।
ইদানিং কালের একটি ক্রিকেটিয় দৃষ্টান্ত মনের রাখার স্বার্থে উল্লেখ করছি। আমাদের দেশের উদীয়মান মোস্তাফিজ আবিস্কৃত হলো এবং নিজেকে মেলে ধরল বিশ্ব ক্রিকেটে। তখন পুরো ক্রিকেট বিশ্ব অবাক হয়ে মাথা নত করে স্বীকার করল ও আমাদেরকে সম্মান দিলো। কিন্তু পাশাপাশি তারা মোস্তাফিজকে গভেষনা এবং পড়ালেখা করতে শুরু করলো। শেষ অব্দি তারা মোস্তাফিজকে আবিস্কার করে নিজেদেরকে আরো উপরে উঠার সিড়ি খুজে পেল। এখন কি হলো মোস্তাফিজ তাঁর ক্যারেসম্যাটিক ক্যারিশমা আর দেখাতে এবং সবার উপর দাপিয়ে বেড়াতে অপাড়গতা প্রকাশ খেলার ভাষায় ঘটাল। এটা একটি শিক্ষা আমাদের জন্য। যদি আমরা সকলে মিলে মোস্তাফিজকে রক্ষা করতাম এবং তাকে নতুন নতুন সাজে সাজিয়ে বিশ্ব দরবারে উপস্থাপন করতাম তাহলে আমাদের শ্রেষ্টত্ব অক্ষুন্ন থাকত। কিন্তু সেখানে আমরা সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।
তেমনি করে আমাদের চলমান উন্নয়ন এবং উদীয়মান বিশ্ব মর্যাদা ও নের্তৃত্বকে অক্ষুন্ন রাখতে হলে সকলে মিলেই প্রধানমন্ত্রীকে সহযোগীতা করতে হবে এবং এগিয়ে নিতে হবে তাঁর দেয়া দায়িত্বকে। আর এই দায়িত্বটুকু পালনে সচেষ্ট থাকতে পারলে বিশ্ব আর আমাদের কাছ থেকে এই যাদুর কাঠি ছিনিয়ে নিতে পারবে না। বরং নতুন নতুন দিকদর্শণে মহা ব্যস্ত থেকে তাদের উন্নয়ন ও অগ্রগতি ধরে এগিয়ে যেতে যেতে আমাদেরকে অনুসরণ ও সম্মান দেখানো অব্যাহত রাখবে। আসুন আমরা নিজেরা বিদেশীদের চোখে ধরা বা স্বীকৃতি দেয়ার আগেই আমাদের স্বীকৃতিটুকু অব্যাহত রাখার কাজে সচেষ্ট থাকি।
দেশের অভ্যন্তরে উন্নয়ন, রোডম্যাপ, পরিকল্পনা, বাস্তবায়ন, উদারতা, ভালবাসা এবং অনুঘটকের ভূমিকা সবই প্রত্যক্ষ দৃশ্যমান। কেউ কেউ সমালোচনা হাতিরে ইতিবাচক দৃষ্টির বিপরীতে নেতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি ব্যবহার করে ঝেড়ে ফেলা পুরুনোকে খুঁজে পাওয়ার চর্চায় লিপ্ত। এই পুরোনো চর্চা বন্ধ করে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গির ব্যবহার বাড়াতে আগ্রহী হয়ে কাজ করে যেতে হবে। তবে বিশ্বাস করি আগামী দিনে আমাদের সকল নেতিবাচকতার অবসান হবে এবং সকল ইতিবাচকতার চার্চা বহুলাংশে চালু হবে। পৃথিবীকে আর পেছনে নেয়ার সময় নেই এখয় শুধু সামনে নেয়ার সময়।
আমাদের সরকার প্রধান যেভাবে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বৃদ্ধি করেছেন এবং সমান্তরাল দৃষ্টিতে যা যা করণীয় তা করে যাচ্ছেন এতে করে আগামীর সম্ভাবনাটুকু আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে। চাহিদার বিশালতার ব্যপ্তি বৃদ্ধি পাচ্ছে। চলমান রোহীঙ্গা সমস্যাকে সমস্যা মনে না করে বরং মানবতা ও সৃষ্টিকর্তার মূল্যবোধে জাগ্রত করেছে। মায়ানমারের সঙ্গে সু-সম্পর্ক বজায় রেখে সমাধানকল্পে এগিয়ে যাচ্ছে এটাই একটি শান্তিপূর্ণ বিজ্ঞ ও প্রাজ্ঞ রাজনৈতিক দক্ষ নেতার বৈশিষ্ট। এই দেখে বিশ্ব নেতারা এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একটি সাবজেক্ট হিসেবে নিয়ে গভেষনা পাশাপাশি পড়ালেখা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে সদ্য তিন নোবেল বিজয়ী মহিলা যে উপাধি দিল ( মমতাময়ী মা) তা যৎসামান্য কিন্তু এর বিশালতা অনেক। আমি মনে করি আমাদের ভাবা উচিত এবং সেই অনুযায়ী কাজ করা জরুরী। পুর্বের বিশ্ব নেতাদের উপাধি ছিল বিশ্ব মানবতার মা। এই বিশালতার ছত্র ছায়ায় আজ আমরা উদ্বেলীত এবং আগামীর জন্য উচ্ছলীত ও উদগ্রীব।
বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট বলেন আমাদের সম্ভাবনা অনেক; কারণ তিনি দেখেছেন আমাদের অর্থনীতি কিভাবে সৈকতের ঢেউ ও নদীর পানির জোয়ারের ন্যায় এগিয়ে যাচ্ছে। কোন ভাবেই একে আটকানো যাচ্ছে না বরং নিরব বিল্পব ঘটিয়ে সামনে অগ্রসর হচ্ছে। এহেন পরিস্থিতিতে আমরা যদি ঐক্যবদ্ধ এবং চেতনায় ৭১ ও ৫২ ধারণ করে অগ্রসর হই তাহলে বিশ্ব নের্তৃত্ব দেয়ার দুয়ারে প্রবেশের বেশী দুরে আমরা নই। বাংলাদেশ যা করে দেখিয়েছে তার বাইরেও আরো একটি বৃহৎ কাজ করে দেখাবে যা দেখার জন্য বিশ্বাবাসী এখন প্রস্তুতি নিচ্ছে। আসুন আমরা এই অসাধ্য ও অসম্ভবকে সম্ববে পরিণত করি এবং এগিয়ে যাই নব দিগন্তের নব সুচনায়।
আমাদের আরো একটি স্বীকৃতি আজ ধরা দিয়েছে, সদ্য প্রকাশিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এম্বাসিডর মার্শা ব্লুম বার্ণিকাট এর কাছ থেকে। তিনি বলেছেন বাংলাদের আগামী নির্বাচনে কোন মধ্যস্থ্যতাকারীর প্রয়োজন নেই। সুষ্ট নির্বাচনের জন্য বর্তমান সরকার এবং সংবিধানই যথেষ্ট। এই থেকে কি আমাদেরকে কোন শিক্ষা নেয়ার নেই। আমরা কেন গভীর সমুদ্রে সাতরাতে গিয়ে জীবন বিপন্ন করছি। সহনীয় জীবন থেকে কেন দুর্বীসহ জীবনে প্রবেশ করতে যাচ্ছি। সময় ও জ্ঞান এবং দৃষ্টান্ত সবই এখন আমাদের সামনে উন্মুক্ত কিন্তু শুধু এর প্রয়োগ এবং ব্যবহার বাড়িয়ে নিজেদেরকে অগ্রসর করলেই ভালো থেকে আরো ভালোর দিকে অগ্রসর হওয়া যাবে। জ্ঞান অর্জনের জন্য সৃষ্টিকর্তার কাছে যাচনা করি যেন তিনি আমাদেরকে উপর থেকে জ্ঞান, বুদ্ধি, বিবেচনা এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতা, নিশ্চয়তা দান করেন। তাঁর দান নিয়েই আমরা আমাদের আগামী জীবনে যা ভাল, যা সৎ, যা খাঁটি, যা সুন্দর এবং প্রশংসার যোগ্য সেইদিকে মনযোগ দিতে পারি। আমাদের বর্তমান এবং আগামীর উন্নয়ন এবং সম্ভাবনা ও প্রশংসাকে একই সুত্রে গেঁথে বিনীসুতোর মালার মত করে তুলতে পারি। এই একত্রিকরণ এর জোয়ার অব্যাহত রাখতে পারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.