একটি কার্টুন ও ও তার পিছনের গল্প

তাজুল ইসলাম নয়ন॥ এই কার্টুনটি বাংলাদেশ প্রতিদিন থেকে নেয়া। এটি সময়োপযোগী এবং সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ। এই কার্টুনটির গরুত্ব অনেক বেশী। মশা একটি ক্ষুদ্র এবং অতিমাত্রার ক্ষতিকার কীট পতঙ্গ। এই মহাবাহী রোগী মানুষের জীবন এখন ঝুকিতে। আর এই মশার তান্ডব কমানোর কোন কৌশল এখনও আবিস্কৃতি হয়নি বলেই ধরে নেয়া যায়। তবে নানান ধরণের ঔষধ, ক্রিম এমনকি স্প্রে ও কয়েল ব্যবহার একধরণের সেকেলে হয়ে গেছে। মশা যেন এসবের ধার ধারে না। মশা তাদের বংশ বৃদ্ধির ক্ষমতায় পরিপক্ক এবং একটি মারলে ১০০টিরও বেশী বৃদ্ধিতে সক্ষমে রুপান্তরিত হয়েছে।  MOSA IN BIMAN
ঢাকা শহরে মশা তাড়ানোর জন্য কামান প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। এত মশার উপদ্রপ কখনো দেখিনি বলা যাবে না তবে এর প্রতিকারের যে ব্যবস্থা ছিল তা এখন আর সচল নেই। মাঝে মাঝে দেখি ঔষধ ছিটাতে বা ফগ মেশিন ব্যবহৃত হতে কিন্তু মশার দমনে ঐ সকল এখন বিকল বা আই ওয়াশেই পরিণত হয়েছে। হয়তবা মশারা শক্তিশালি হয়েছে নয়তোবা মেশিন এবং ঔষধে ঝামেলা রয়েছে। তবে দেখার যে কেউ নেই তা বুঝার যথেষ্ট কারণ রয়েছে। ঐদিন সিটি কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তা বলেই বসলো ঐ ঔষধ দুইনম্বর এবং ঔষধের নামে টাকা লুটেপুটে খাচ্ছে। তাই মশা নিধন কার্যকর হচ্ছে না।
তবে প্রয়াত বন্ধু আনিছুল হক আর নেই যে, সততায় কঠোর হয়ে এই সব দেখভাল করবে। তবে আশায় আছি হয়তো বন্ধুর উত্তরসূরী কাউকে আবার পাবো জনগণের পাশে এসে জনগণের কাতারে দাড়িয়ে এইসকল সমস্যার সমাধান করবে। অপরদিকে ছোটভাই খোকন তার আন্তরিকতা দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছে এবং সুফলও পাচ্ছে বটে। চেষ্টা + আন্তরিকতা ও সততার সমন্বয়ে কাজ করলে এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায় এবং গেছে এর অজ¯্র উদাহরণ রয়েছে। আগামী দিনে এই মশার উপদ্রব থেকে মুক্তির প্রত্যাশা রাখি।
মশা আগে ছিল জল ও স্থল পথে; কিন্তু ইদানিং এর ক্ষমতা বাড়িয়ে আকাশ পথেও হানাদিচ্ছে। উপর মহলের মানুষগুলোকে বন্দীদশায় পেয়ে আনন্দচিত্তেই রক্ত শোষণ করে কিত্তণ এবং ভাওয়া সুরে গানও শোনাচ্ছে। গত ১৯/২/১৮তারিখ নব এয়ারের বিমানে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার পথে অনেক ভাওয়াইয়া এবং কিত্ত্ণ গান গুনেছি এমনকি আমার শরীরের রক্ত খেয়ে চলে যাওয়ার সময় দুর্ঘটনায় আহত মশা নামক ক্ষদ্র কীট পতঙ্গ নামক প্রাণীটিকে উদ্ধার করেছি। খোদার কি লিলা খেলা এই কিট পতঙ্গ নামী প্রাণীটি যেন আর কাউকেই রেহাই দেবে না এমন মনোভাবে অধির আগ্রমে ছিল আবার কখন ফিরবো। তাদের সেই বাকি গানগুলো শুনাতে ব্যস্ত।
যখন ২১/২/১৮ তারিখে আবার ফেরত বিমানে ঢাকা রওয়ানা হলাম। মাশাআল্লাহ কি অদ্ভুদ ঐ একই দশা। মাননীয় মশা মহোদয় এবং মহোদয়াগণ আসলেন এবং আক্রমন করলেন। যা হওয়ার তাই হলো। তাড়ানোতে ব্যক্ত থেকে থেকে কখন যেন চোখে ক্লান্তির ঝিমুনি আসলো আর ঐ সুযোগ সন্ধানীরা বন্দীদশায় আমাকে নিধন করার চেষ্টা করলো মাত্র। কি অদ্ভুদ এই আচরণ। এইবারই প্রথম প্রত্যক্ষ করলাম বিমানে মশার আক্রমন। কর্তৃপক্ষকে কি আর দুষব; দোষতো এখন আমার কপালেই তিলক আটল।
এখন যুক্ত হলো জল + স্থল + আকাশ এই তিন পথ বা জায়গাই মশার দখলে। কেউ কি এগিয়ে আসবেন ঐ দখল মুক্ত করার জন্য। আশায় রইলাম দখলমুক্ত জল এবং স্থল ও আকাশপথে নিরবাচ্ছিন্নভাবে গমনাগমনের জন্য। ধন্যবাদ ঐ কার্টুনিষ্টকে এই মনের চাহিদার যোগান দেয়ার জন্য।

Leave a Reply

Your email address will not be published.