কসবায় চোরাকারবারী গাজা সহ আটক করায় গ্রাম পুলিশকে বেদম প্রহার করেছে বিজিবি সদস্যরা

ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা ( ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় চোরাচালানের মাল আটক করায় উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ দুলাল মিয়া (৫৬) কে বেদম প্রহার করে চোরাচালানীদের মালামাল সহ চোরাকারবারীকে ছেড়ে দিয়েছে বিজিবির জোয়ানরা। দুলাল জানায় এরা কসবা সীমান্তের মইনপুর বিজিবি ক্যাম্পের জোয়ান। এ ঘটনায় উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের সাধারন মানুষ বিক্ষুব্ধ হয়ে  উঠেছে। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন ভূইয়া বিজিবি’র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ সহ উপজেলা প্রশাসনের নিকট অভিযোগ দিয়েছেন।
সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত বুধবার ( ২৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে বায়েক স্কুলের পিছনে বিজনা নদীর পাড়ে রঘুরামপুর গ্রামের বারেক মিয়ার ছেলে চোরাকারবারী লিটন মিয়ার নেতৃত্বে একদল চোরাকারবারী ভারত থেকে গাজার বস্তাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক নিয়ে আসে। এ সময় ৪নং ওয়ার্ডের গ্রাম পুলিশ দুলাল মিয়া বাড়িতে যাচ্ছিল। নদীর পাড়ে দাড়িয়ে থাকা বিজিবির কয়েকজন জোয়ান দুলালকে প্রশ্ন করে চোরাচালানীরা কোনদিকে গেছে। দুলাল দেখতে পায় বিজিবি’র সামনে দিয়ে লিটন গাজা নিয়ে চলে যাচেছ। দুলাল বিজিবিকে বলে ওই যে গাজা নিয়ে যাচ্ছে এবং এ সময় সে লিটন মিয়াকে গাজাসহ আটক করলে বিজিবির জোয়ানরা তাকে বেদম প্রহার করে লিটন ও অন্যানদেরকে পালাবার সুযোগ করে দেয়। পরে তার চিৎকারে স্থানীয় লোকজন গ্রাম পুলিশ দুলালকে উদ্ধার করে নয়নপুর বাজারে চিকিৎসা দেয়। বিজিবি সদস্যদের এই অমানবিক আচরনে স্থানীয় নেতৃবৃন্দ আইনমন্ত্রীর একান্ত সহকারী সচিব এডভোকেট রাশেদুল কাওসার ভূইয়া জীবনের নিকট এ ঘটনা জানালে তিনি উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা ইসলামকে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করেন। এ দিকে মঈনপুর বিজিবি ক্যাম্পের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার সার্জেন্ট তারেক বলেন; এ ঘটনা সেক্টর কমান্ডারের বিশেষ টিমের সাথে। বিষয়টি মঈনপুর ক্যাম্পের ঘটনা নয়। বায়েক ইউপি চেয়ারম্যান আল মামুন ভূইয়া জানান; তিনি এ বিষয়ে ৬০বিজিবি’র অধিনায়কের সাথে কথা বলে উপযুক্ত বিচার চেয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.