টিআইএন॥ প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের বৃত্তির টাকা মায়েদের মোবাইল ফোনের অ্যাকাউন্টে পৌঁছে দিতে ২০ লাখ মোবাইল সেট কিনে দিতে হয়েছে সরকারকে। কারণ হতদরিদ্র্য এই মায়েদের ফোন কেনার সামর্থ্য ছিল না। তবে পুরো কাজটিই সরকার করেছে অনেকটাই গোপনে। না হলে সবাই বিনামূল্যে ফোন চাইতো বলে ধারণা ছিল সরকারের।
গত রবিবার সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের জন্য ২৬৫ জন শিক্ষার্থীকে প্রধানমন্ত্রীর স্বর্ণপদক প্রদান অনুষ্ঠানে শেখ হাসিনা নিজে এ কথা জানান। ২০১৭ সালের ১ মার্চ প্রধানমন্ত্রী প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তির টাকা তাদের মায়েদের মোবাইল ফোনে পাঠানোর কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। এখন এক কোটি ৩০ লাখ মা এভাবে টাকা পাচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আজকে আমরা এক কোটি ৩০ লাখ মায়ের নামে মোবাইল ফোনে টাকা দিচ্ছি। এর মধ্যে ২০ লাখ মা আছে যাদের হাতে মোবাইল ফোন ছিল না। তাদেরকে আমরা মোবাইল ফোন ও সিম কিনে দিয়েছি। এটা আগে বলিনি, তাহলে সবাই বলত মোবাইল ফোন কিনে দেন।’
বঙ্গবন্ধু হত্যার ছয় বছর পর ১৯৮১ সালে ফিরে দেশের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দরিদ্র পরিবারের সন্তানদের স্কুলে না দেয়ার বিষয়ে মায়েদের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি জানান, ওই মায়েরা তাকে বলেছে, স্কুলে দিলে তাদের পরিবারের আয় কমে যাবে। এর চেয়ে কাজে দিলে দুটো টাকা আসবে।
এই অভিজ্ঞতা থেকে উপবৃত্তি দেয়া চালু করার কথা জানান প্রধানমন্ত্রী। তিনি এও বলেন, ‘টাকার পরিমাণ খুব কম দিয়ে আমি শুরু করেছি, খুব বেশি না। কারণ ওর ওপর সম্পূর্ণ নির্ভরশীল হয়ে যাক, তা আমরা চাই না, তাহলে কর্মবিমুখ হয়ে যাবে। কিন্তু ওটা যেন কিছুটা হলেও তাকে সহায়তা দেয়।’ সেই আশা থেকেই শুরু করেছি।
বিষয়টি ভাবার বিষয় যে, সরকারের পারদর্শীতা এবং গোপনীয়তা রক্ষায় প্রারঙ্গমতা। এখানেই মিডিয়া এবং সংবাদ মাধ্যম ও ঘটিষ্টজনেরা সফল। এখন আমাদের শিখতে হবে সরকারের কাছ থেকে যেন আমরাও তাদের অভিজ্ঞতা কাজে লাগীয়ে সামনের দিনে কর্মক্ষেত্র, ব্যক্তিগত জীবন, সামাজিক ও রাজনৈতিক জীবন পরিচালনা করতে পারি। আর যারা রাজনীতি করছেন এবং ভবিষ্যতে সরকারে যাওয়ার খোয়াব দেখছেন… তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে হলে শেষ হাসিনার শিক্ষা দিক্ষা এবং দেখানো ও শেখানো পথে এগুনো ছাড়া আর কোন বিকল্প নেই। যারা এই বাইরে চিন্তা করছেন এমনকি পরিকল্পনা আটছেন তাদের সকল কিছুই বিফলে এবং নিশ্চিত মৃত্যুকুপে পতিত হওয়া আর কি।