নয়ন॥ আগামী নির্বাচন নিয়ে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত জেনারেল হুসাইন মুহাম্মদ এরশাদ বলেছেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলেও নির্বাচন বন্ধ হবে না। তাদের নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ায় কিছুই যায় আসে না। জাতীয় পার্টি আর আওয়ামী লগি যদি নির্বাচনে যায়, বিএনপি না গেলেও সেই নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে।
গত শুক্রবার ২/৩/১৮ সকালে রংপুর সার্কিট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এরশাদ এসব কথা বলেন। তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে বিএনপি আসবে কি না, সে ব্যাপারে আমার যথেষ্ট সন্দেহ আছে। তারপাও সরকার চেষ্টা করছে। আমরাও মনে করি তাদের নির্বাচনে অংশ নেওয়া উচিত।
এ সময় বিরোধী দলের মন্ত্রীত্ব নিয়ে রওশন এরশাদের সংসদে দেওয়া বক্তব্য প্রসঙ্গে এরশাদ বলেন, ‘প্রথমত আমাদের কাউকেই মন্ত্রিসভায় নেওয়া ঠিক হয়নি। বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ সংসদে এ বিষয়ে সঠিক কথাটি বলেছেন। তবে সরকারী দলের সঙ্গে মন্ত্রীসভায় যোগদান করার বিষয়টি ছিল রাজনৈতিক কৌশল। আমরা আর মন্ত্রিসভায় থাকতে চাই না। তিনি বলেন, বর্তমান মন্ত্রিসভায় জাতীয় পার্টির যে তিন মন্ত্রী আছেন, আমিও মন্ত্রীর পদমর্যাদায় আছি, আমরা কিছুদিনের মধ্যেই মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করব। পদত্যাগ করার বিষয়টি এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি ছয় বছর দুই মাস কারাগারে ছিলাম। আমার বিরুদ্ধে সব মামলাই ছিল জামিনযোগ্য। তারপরও আমি জামিন পাইনি। হাইকোর্ট আদেশ দেওয়ার পরও আমাকে সংসদে আসতে দেওয়া হয়নি। পৃথিবীর কোনো দেশে কোনো নেতাই আমার মতো নির্যাতি ভোগ করেনি। তারপরও বলব আমি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ছিলাম এবং আছি ও থাকব। তবে বিএনপির নেত্রী অন্যায় করেছেন সাজা পেয়েছেন এখন ভোগ করবেন।
আমি যেভাবে আইনি ও রাজনৈতিক মোকাবেলা করেছি, ঠিক এখন সেইরকমই, তার পালা দেখার বিষয়; শাক দিয়ে মাছ কিভাবে তিনি ঢাকেন।
সময় বদলিয়েছে এবং সত্য প্রকাশিত হয়েছে পাশাপাশি এইদেশের মানুষের চিন্তার ও মননের পরিবর্তন ঘটেছে। যুগের চাহিদানুযায়ী নিজেদেরকে খাপ খাইয়ে নেয়ায় সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ণ বলে আমি মনের করি। আগামী দিনের রাজনীতি হবে স্বচ্ছ এবং জঞ্জালমুক্ত অঙ্গিকার, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দৃষ্টান্ত সমৃদ্ধ।