রাইসলাম॥ রাজাকারের রক্তে রাজাকারই পয়দা হয়। রাজাকারের উত্তরাধিকারীরা যেখানেই রয়েছে সেখানেই এই দেশকে অস্থিতিশীল এমনকি দেশের অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার উপক্রম। ক্রম আকারে এই রাজাকারদের ইতিবৃত্তি প্রকাশ হচ্ছে যেন, দেশ ও দেশের জনগণ এদের থেকে সাবধান হতে পারে। এদের মিষ্টি কথায় চিড়া বেজানো থেকে বিরত থাকে। যত মিষ্টি কথাই বলুকনা কেন, রসুনের কোয়ার যোগসুত্র কিন্ত একটাই। আর সেটা হলো পাকিপ্রীতি। এই পাকিপ্রীতি বণীতা থেকে বেঁচে থাকতে হবে আমাদের সকলের।
আসুন আমরা রিজভীর পরে এবার জানি জনাব ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্পকে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বাবা মির্জা রুহুল আমিন মুসলিম লীগ করতেন, ঠাকুরগাঁও পৌরসভার ওয়ার্ড কমিশনার ও চেয়ারম্যান ছিলেন।
১৯৭১ সালে রুহুল আমীন ছিলেন ঠাকুরগাঁও জেলার প্রখ্যাত ও প্রতিষ্ঠিত রাজাকার। অনেক হত্যা ধর্ষন ও অগ্নিকান্ডের অভিযোগ ছিল তার উপর। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধু সরকার ১৯৭২ সালে দালাল আইনের মাধ্যমে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দোসর একাত্তরের ঘাতক দালালদের আটক করে বিচার করা শুরু করেন।
১৯৭৩ সালের ৩০ শে নভেম্বর বঙ্গবন্ধু সাধারণ ক্ষমা ঘোষনার পরও আটক থাকা মোট ১১ হাজার দালালের একজন ছিলেন রুহুল আমিন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বপরিবারে হত্যা করার পর জিয়াউর রহমান ক্ষমতা দখল করে ১৯৭৫ সালের ৩১ আগস্ট দালাল আইন বাতিল করে ১৯৭২ সালের দালাল আইনে আটককৃত অপরাধীদের মুক্ত করে দেন।
মুক্তি পেয়ে রুহুল আমিন জিয়াউর রহমানের বিএনপিতে যোগ দেয় এবং ১৯৭৯ সালে ঠাকুর গাঁও- ২ আসন থেকে এমপি নির্বাচিয় হন। মির্জা রুহুল আমিন ঠাকুরগাঁও জেলার অধিবাসী না হওয়ায় জিয়াউর রহমান ঠাকুরগাঁও-১ আসন (সদর) না দিয়ে ঠাকুরগাঁও শহরের বাহিরে ঠাকুরগাঁও- ২ আসনে বিএনপির মনোয়ন দেন।
জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তিনি জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন ও ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯০ সালের এরশাদ সরকারের পতনের আগ পর্যন্ত জাতীয় পাটির এমপি ছিলেন।
এই হলো জনাব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেবের চরিত্র এবং বংশ পরিচয়। এই পরিচয়ের ধারক ও বাহকদের দ্বারা কি হতে পারে তা একটু অনুমান করুনতো। আগামী দিনের ভবিষ্যৎ কি এদের হাতে ছেড়ে দেয়া যায়? বিচার এবং বিবেচনা বোধ সকলেরই আছে তাই বিবেক বিবেচনা প্রসুত হয়ে কাজে এগিয়ে আসুন এবং আমাদের সকলের প্রীয় বাংলাদেশ দেশদ্রোহীদের হাত থেকে রক্ষা করুন।