এস কে কামাল॥ সরকারি চাকরিতে কোনও ধরনের কোটা থাকবে না বলে ছাত্রলীগ নেতাদের জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত বুধবার (১১ এপ্রিল) সকালে গণভবনে ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তিনি তাদের এই কথা জানান।
ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বাংলা বলেন, ‘আজ সকাল ১০টায় আমি ও ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে গণভবনে সাক্ষাৎ করি। আমরা তার কাছে ছাত্র সমাজের কোটা সংস্কারের দাবি তুলে ধরি। প্রধানমন্ত্রী আমাদের জানিয়েছেন, সরকারি চাকরিতে কোনও ধরনের কোটা থাকবে না। তিনি আজ (বুধবার) বিকালে সংসদে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানাবেন।’
এদিকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসাইনও বিষয়টি বাংলা নিশ্চিত করেছেন। ফেসবুকে এ নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন তিনি। এসএম জাকির হোসাইন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমরা ছাত্রদের কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবির কথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরতেই আজ সকালে গণভবনে তার সঙ্গে দেখা করি। তিনি আমাদের ছাত্রদের দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলেছেন।’
এদিকে (বুধবার) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ বলেন, ‘সবার কথা চিন্তা করেই প্রধানমন্ত্রী আমাদের আশ্বস্ত করেছেন সরকারি চাকরিতে কোনও ধরনের কোটা থাকবে না।’
অন্যদিকে ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসাইন বলেন, ‘আমরা সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করি। কোটা ব্যবস্থাসহ ছাত্র সমাজের দাবি-দাওয়া নিয়ে আমরা তাকে ব্রিফ করি। তিনি আমাদের স্পষ্টভাবে বলেছেন, সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা থাকবে না। তাই এখন আর আন্দোলন চালিয়ে নেওয়ার যৌক্তিকতা দেখি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা প্রথম থেকেই ছাত্র সমাজের সঙ্গে ছিলাম, আছি, থাকবো। আমরা তাদের সঙ্গে প্রথম থেকেই কথা বলেছি এবং এই ব্যাপারে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে যে মিটিং হয়েছে সেটাও ছাত্রলীগের সমন্বয়েই হয়েছে।’
পরবর্তীতে বিকেলে সংসদ অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী তাঁর নির্ধারিত বক্তব্যে কোটা প্রথা বিলুপ্তির ঘোষণা দেন এবং ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠি ও পিছিয়ে পড়াদের বিষয়ে তিনি অন্যভাবে কিছু করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। তিনি বলেন যাদের জন্য কোটা প্রথা চালু করেছি, তাদের এখন প্রয়োজন নেই বলে তারা আমাকে জানিয়েছে তাই আমি আর কোটা প্রথা রাখছি না। সম্পূর্ণ কোটা প্রথাই আমি বিলুপ্ত করছি। কারণ আমার রাজনীতি সকলকে নিয়ে। সকলের প্রয়োজনেই আওয়ামীগ রাজনীতি এবং রাষ্ট্র পরিচালনা করে। কোন ব্যক্তির একক প্রয়োজনে নয় বরং সার্বিক এবং সামগ্রীক কল্যাণের তরে আমাদের সেবার মানষিকতা।