নিজস্ব প্রতিবেদক॥ কালিয়াকৈর পৌর এলাকার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আব্দুস সবুর সরকারের মেয়ে সামিহা সরকার সুইটি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পদপ্রার্থী। মহিলা বিষয়ক সম্পাদীকা পদে নিজের জায়গা করে নেওয়ার জন্য আওয়ামীলীগ সহ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে প্রতিনিয়ত যোগাযোগ রক্ষা করে যাচ্ছেন। তবে বিএনপি নেতার মেয়ে হয়ে ছাত্রলীগে পদ প্রার্থীর কারনে স্থানীয় ছাত্রলীগের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে। আবার সামিহা সরকারের বিরুদ্ধে বিবাহিতের অভিযোগও রয়েছে। তবে এসব কিছুই অস্বীকার করেছেন তিনি। সামিহা সরকার বলেন, তার বাবা এখন অসুস্থ্য। তাই তিনি কোন কিছুর সাথেই জড়িত নয়। আর তিনি এখনো বিয়ে করেননি বলে দাবী করেন। এছাড়াও তিনি কেন্দ্রিয় কমিটিতে ছাত্রলীগের পদ প্রার্থী। কালিয়াকৈর পৌর বিএনপির সাধারন সম্পাদক ও মেয়র মজিবুর রহমান বলেন, সবুর সরকার তার সাথেই রাজনীতি করেন। তিনি কালিয়াকৈর ৯নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতির পদে রয়েছেন। এছাড়াও তার পুরো পরিবার দীর্ঘ দিন যাবৎ বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছে বলে বিএনপির এই মেয়র জানান। এছাড়াও তিনি আরো বলেন, সবুর সরকারের মেয়েকেও তিনি ব্যাক্তিগতভাবে জানেন। তবে কবে থেকে সামিহা সরকার সুইটি ছাত্রলীগ রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েছে বিষয়টি তার জানা নেই। খোজ নিয়ে জানা গেছে, কালিয়াকৈরের সখিপুর এলাকার আব্দুস সবুর সরকারের মেয়ে সামিহা সরকার সুইটি। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আইটি ডিপার্টমেন্টের শিক্ষার্থী। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের নাম ঘোষনার পর থেকেই তিনি ওই কমিটিতে মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা হিসেবে নিজের জায়গা করার জন্য প্রতিনিয়তই আওয়ামীলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা শুরু করে দিয়েছেন। ছত্রলীগের নেতাকে ফুল দিয়েও শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এই শিক্ষার্থী। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কালিয়াকৈর থানা ছাত্রলীগের আহবায়ক কমিটির এক নেতা বলেন, বিএনপি নেতার মেয়েকে ছাত্রলীগের কেন্দ্রিয় কমিটিতে নেওয়া হলে তাদের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়াতে পারে। কারন বিএনপির দলের লোকজন এখন কৌশলে অনেকেই আওয়ামীলীগ ছাত্রলীগে যোগ দেওয়ার চেষ্টা করছেন। তবে তাদের মধ্যে অধিকাংশ মন থেকে নয় পরিস্থিতির কারনে তাদের সংগঠনে যোগ দেয়। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি শোভন ও সাধারন সম্পাদক রাব্বানির মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।