আওয়ামী লীগের ইশতেহার: তারুণদের জন্য চমক

প্রশান্তি ডেক্স॥ একাদশতম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তরুণদের জন্য চমক থাকছে আওয়ামী লীগের ইশতেহারে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য শিক্ষা-কর্মসং¯’ান ও দক্ষতা বাড়াতে বাজেটে বরাদ্দসহ দেশব্যাপী বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণের প্রস্তাবনা থাকছে নির্বাচনী ইশতেহারে।toronder jorip
নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে যথেষ্ট গুরুত্ব পায় যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বিষয়টি। পরবর্তী নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের পাশাপাশি উন্নত এবং প্রযুক্তিগতভাবে দক্ষ এক বাংলাদেশ গড়ার বিষয়টি গুরুত্ব পায়। তাই এবার নির্বাচনের আগে তৃণমূল থেকে শুরু করে মনোনয়ন প্রত্যাশী এমনকি সংসদ সদস্যদের মনেও প্রশ্ন, কি গুরুত্ব পাচ্ছে এবারের দলীয় ইশতেহারে।
এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে আওয়ামী লীগের ইশতেহার প্রণয়ন কমিটির সর্বকনিষ্ঠ সদস্য এবং তরুণ নেতা ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ বলেন, বাংলাদেশকে উন্নত রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলার জন্য তরুণদের শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও দক্ষতা বৃদ্ধির বিকল্প নেই। আর সে কারণেই এবারের নির্বাচনী ইশতেহারে তরুণদের বাড়তি গুরুত্ব প্রদান করা হচ্ছে।
শিক্ষার মানোন্নয়ন ক্ষেত্রে বাড়তি বরাদ্দ, কর্মমুখী শিক্ষার বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ এবং তরুণদের কর্মমুখী শিক্ষার প্রতি উৎসাহিত করতে বেশ কিছু পদক্ষেপের কথা থাকবে এবারের ইশতেহারে। এর পাশাপাশি তরুণদের আত্ম কর্মসংস্থানে উৎসাহিত করার পাশাপাশি বিকল্প কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে। এ ক্ষেত্রে তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রাধান্য দিয়ে তাদের জন্য ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরির জন্য কাজ করবে সরকার। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদকে লেটস টক অনুষ্ঠানে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘সরকারিভাবে তরুণ উদ্যোক্তাদের সহায়তার জন্য সহজে ঋণ ব্যবস্থা থেকে শুরু করে আরো বেশ কিছু পদক্ষেপ গ্রহণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার।’ এ ধরনের উদ্যোগের পাশাপাশি তরুণ উদ্যোক্তাদের জন্য সুনির্দিষ্ট আরো বেশ কিছু বিষয় আওয়ামী লীগের ইশতেহারে থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী ২১ অক্টোবর তার বক্তব্য বলেন, ‘আমার বর্তমানকে আমি উৎসর্গ করেছি তরুণ প্রজন্মের সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য, তারাই ভবিষ্যতের বাংলাদেশ গড়বে।’ ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর থেকে তরুণদের প্রযুক্তিগত দক্ষতা বাড়াতে কাজ করে যাচ্ছে সরকারের আইসিট মন্ত্রণালয় এবং প্রধানমন্ত্রীয় একসেস টু ইনফরমেশন বিভাগ (এটুআই)। বিগত বছরগুলোতে তরুণদের কম্পিউটার ট্রেনিং, প্রোগ্রামিং ট্রেনিং, হাইটেকপার্ক নির্মাণ থেকে শুরু করে দক্ষতা বাড়াতে বেশ কিছু উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছি যা ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে সংক্ষেপে বর্ণনা করা ছিল। এবারের ইশতেহারে আগামী প্রজন্মের দক্ষতা বাড়াতে স্কুল পর্যায় থেকে শুরু করে উচ্চ শিক্ষা, সর্বস্তরে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনার কথা থাকবে বলে জানা যায়।
ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ বলেন, আওয়ামী লীগ প্রথমবারের মতো যুগোপযোগী ও প্রগতিশীল যুবনীতি গ্রহণ করে। আর সেই যুবনীতি অনুসারে আগামীতেও ক্ষমতায় গেলে কাজ করে যাব আমরা। এ বিষয় সুনির্দিষ্ট কর্মপরিকল্পনা গ্রহণের মাধ্যমে তা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করে যাবে আওয়ামী লীগ। শিক্ষা, কর্মসংস্থান ও দক্ষতার বৃদ্ধির পাশাপাশি তরুণদের নাগরিক ও রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের বিষয়টিও থাকবে এবারের ইশতেহারে। সুতরাং বোঝাই যাচ্ছে, আওয়ামী লীগের একাদশতম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ইশতেহারে বেশ গুরুত্ব পাচ্ছে তরুণ সমাজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.