বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম

বা আ॥ আগামী বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম (ডব্লিউইএফ) বাংলাদেশে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।bongobondo
এছাড়া, ডব্লিউইএফ ২০২১ সালে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আরো একটি অনুষ্ঠান করবে। ২০২১ সালে দাভোস সম্মেলনে বাংলাদেশ হবে আলোচনার প্রধান কেন্দ্রবিন্দু।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা এবং নির্বাহী চেয়ারম্যান ক্লাউস সোয়াব আজ এখানে ডব্লিউইএফ বার্ষিক সভার সাইড লাইনে শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাত করেন এবং এসময় এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
দালিয়ান আন্তর্জাতিক কনফারেন্স সেন্টারে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের নির্বাহী চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকের পর পররাষ্ট্র সচিব মো.শহীদুল হক সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।
প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
পররাষ্ট্র সচিব বৈঠকের ফলাফলকে বাংলাদেশের জন্য একটি বিশাল অর্জন বলে আখ্যায়িত করেন।
তিনি বলেন, সোয়াব এসময় প্রধানমন্ত্রীকে জানান যে, ডব্লিউইএফ বাংলাদেশকে কেন্দ্র করে কিছু একটা করবে।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘দুই নেতার মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠক অনুযায়ী সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় যে, আগামী বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীতে ডব্লিউইএফ একটি ইভেন্ট আয়োজন করবে।’
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর বিষয়ে তাঁদের সেই ইভেন্ট আয়োজনকালে বাংলাদেশ সফরের জন্য ডব্লিওইএফ নির্বাহী চেয়ারম্যান বাংলাদেশের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
পররাষ্ট্র সচিব বলেন, এটা খুবই উৎসাহব্যঞ্জক যে, ডব্লিওইএফ বাংলাদেশ এবং বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরতে চায়।
বাংলাদেশের চমকপ্রদ উন্নয়নের ভূয়শী প্রশংসা করে সোয়াব প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, ‘আপনার দূরদর্শী এবং বুদ্ধিদীপ্ত নীতি বিশ্বব্যাপী ব্যাপক প্রশংসিত হয়েছে।’
ডব্লিওইএফ নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, ‘বাংলাদেশ তাঁর সীমিত সম্পদ নিয়ে যেভাবে উন্নতি করছে তাতে রীতিমত বিস্মিত হতে হয়। এটি রীতিমত বিস্ময়কর বটে।’
রোহিঙ্গা ইস্যুতে কথা প্রসঙ্গে সোয়াব প্রায় ১০ লাখের অধিক রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে আশ্রয় প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রীর অকুন্ঠ প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের ফোরামে সবসময়ই রোহিঙ্গা সমস্যা নিয়ে আলোচনা করছি এবং আপনারা চাইলেও এই ফোরামটি ব্যবহার করতে পারেন।’
ডব্লিউইএফ নির্বাহী চেয়ারম্যান বলেন, আগামী ৩-৪ অক্টোবর নয়া দিল্লীতে ডব্লিওইএফ এর দক্ষিণ এশিয়া ফোরামের এক সম্মেলন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সেশনে শেখ হাসিনা এবং নরেন্দ্র মোদীকে সেখানে রেখে আঞ্চলিক সহযোগিতা এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নের বিষয়ে প্রস্তাব প্রস্তুত করা হচ্ছে।’
এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র সচিব বলেন, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এই প্রস্তাবটি গ্রহণ করেছেন এবং আমরা এ জন্য কাজ শুরু করেছি।’
রোহিঙ্গা ইস্যুতে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এই প্রলম্বিত সমস্যাটি দ্বিপাক্ষিক পর্যায়ে সমাধানের চেষ্টা করছে। কিন্তু রোহিঙ্গাদেরকে তাদের দেশে ফেরত পাঠানো যাচ্ছে না। এ কাজে আন্তর্জাতিক সমর্থন প্রয়োজন।
শহীদুল হক বলেন, প্রধানমন্ত্রী এ সময় রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফেরত নেওয়ার জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ অব্যাহত রাখার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি তাঁর আহবান পুনর্ব্যক্ত করেন।
শেখ হাসিনা এ সময় রোহিঙ্গাদের অস্থায়ীভাবে আশ্রয় প্রদানের ক্ষেত্রে ভাসানচর নামের একটি দ্বীপ প্রস্তুত করার পদক্ষেপও তুলে ধরেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.