প্রশান্তি ডেক্স॥ বাংলাদেশ টেক্সটাইল মিলস করপোরেশনের (বিটিএমসি) ১৬টি কারখানা পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপের (পিপিপি) চালানোর জন্য অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি নীতিগতভাবে অনুমোদন দিয়েছে। আজ সংসদে নুরুন্নবী চৌধুরীর এক প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী এ তথ্য জানান। গোলাম দস্তগীর বলেন, বস্ত্রশিল্পের আধুনিকায়নে সরকার রাষ্ট্রায়ত্ত বস্ত্রকলগুলো চালুর জন্য পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) অবলম্বন হয়েছে চিহ্নিত করেছে। এ জন্য বিটিএমসির ১৬টি মিল পিপিতে চালানোর বিষয়টি অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি নীতিগতভাবে অনুমোদন করেছে। এই প্রক্রিয়ার প্রথম পর্যায়ে আহাদ বাওয়ানো টেক্সটাইল মিলের নির্বাচিত প্রাইভেট পার্টনার ক্যানটিনে ফ্যাশনের সঙ্গে গত ২৫ জুন এবং কাদেরিয়া টেক্সটাইলের পার্টনার অরিয়ন কনসোর্টিয়ামের সঙ্গে ২১ জুলাই চুক্তি সই হয়েছে। ফরিদুল হক খানের প্রশ্নের জবাবে গোলাম দস্তগীর বলেন, স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারের চাহিদার সঙ্গে সংগতি রেখে পাট ও পাটজাত পণ্য উৎপাদনের বেশ কিছু সমস্যা আছে। এর মধ্যে আছে উন্নত বীজের অভাব ও আমদানি–নির্ভরতা, পাট পচানোর জন্য পানির স্বল্পতা, পণ্যে পাটজাত মোড়কের ব্যবহার বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইনের সীমাবদ্ধতা, আন্তর্জাতিক বাজার সংকোচন, পাটচাষিদের উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি, পাটজাত পণ্য রপ্তানির ওপর ভারত কর্তৃক অ্যান্টি ডাম্পিং শুল্ক আরোপ এবং পর্যাপ্ত বিদেশি বিনিয়োগের অভাব। এসব সমস্যা থেকে উত্তরণের জন্য ধান, চাল, গম, ভুট্টা, সার, চিনি, মরিচ, হলুদ, পেঁয়াজ, আদা, রসুন, ডাল, ধনিয়া, আলু, আটা, ময়দা, তুষ খুদ কুঁড়া, পোলটি ফিড ও ফিশ ফিড—এই ১৯টি পণ্যের মোড়কীকরণের জন্য ব্যাগ তৈরি করা হচ্ছে। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে পাটপণ্যের রপ্তানি বাড়ানোসহ অন্যান্য পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এনামুল হকের প্রশ্নের জবাবে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে পাটকলগুলোর উৎপাদন ছিল ৬৯ হাজার ১১১ টন। তার আগের বছর এই উৎপাদন ছিল ১ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৩ টন।