প্রশান্তি ডেক্স ॥ ইলেট্রনিক ডিভাইস’র মাধ্যমে ই-ট্রাফিক সিস্টেম চালু করতে যাচ্ছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ। জনগণের দোরগোড়ায় ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেয়ার সরকারি সিদ্ধান্তের আলোকেই জেলা পুলিশ এই বিশেষ ধরণের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস চড়রহঃ ড়ভ ঝধষব (চঙঝ) চালু করতে যাচ্ছে। ট্রাফিক ডিভিশনের সকল কাজ ডিজিটালাইজডের লক্ষ্যে বিগত ২০১০ সালের নভেম্বর মাসে ই-ট্রাফিক পাইলট প্রকল্পটি হাতে নেয়ার দু’বছরের মাথায় ২০১২’র ২৪ সেপ্টেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে এর কার্যক্রম শুরু হয়। ২২ সেপ্টেম্বর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় ই-ট্রাফিক সিস্টেম চালু হয়। মোবাইল কোম্পানী ‘গ্রামীনফোন’ এবং ‘ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক’ এগিয়ে এসেছে ই-ট্রাফিকের সহায়তায়। বর্তমানে ট্রাফিক পুলিশ একটি ছকবাঁধা কাগজে মামলা লিখে দেয়ার পর জরিমানা ট্রেজারী চালানের মাধ্যমে চালক অথবা মালিক নিজে সোনালী ব্যাংকে গিয়ে জমা প্রদান করে। ই-ট্রাফিক সিস্টেমে থাকবেনা এই ভোগান্তি। ই-ট্রাফিক ব্যবস্থায় ট্রাফিক পুলিশের হাতে থাকবে একটি ইলেট্রনিক ডিভাইস যাতে প্রিন্ট আকারে ছক করা থাকবে। ট্রাফিক কর্মকর্তা আইন লংঘনকারী গাড়ি বা চালকের তথ্য, জব্দকৃত দলিলের তথ্য লিখে লংঘিত আইনের ধারা উল্লেখ করে মামলার ডাটা ইনপুট দিলেই ওই যন্ত্র থেকে বের হয়ে আসা একটি কাগজের স্লিপে অপরাধের ধরণানুযায়ী জরিমানার টাকার পরিমাণ। দন্ডিত ব্যক্তি ওই চঙঝ ডিভাইস অথবা বিকাশ’র মাধ্যমে উল্লিখিত জরিমানার টাকা পরিশোধ সাপেক্ষে মামলা নিষ্পত্তি করে জব্দকৃত দলিল তাৎক্ষণিকভাবে নিয়ে যেতে পারবে। ‘পস-ডিভাইস’ এর মাধ্যমে যানবাহনের রেজিস্ট্রেশনের নাম্বার, চেসিস ও ইঞ্জিন নাম্বার, ড্রাইভিং লাইসেন্স যাচাই-বাছাই, গাড়ির ট্যাক্স টোকেন সংক্রান্ত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে যাচাই বাছাই করা যাবে। ই-ট্রাফিক সিস্টেম চালু হওয়ার ফলে মামলার দীর্ঘসূত্রতা কমবে, ব্যক্তির সময় বাঁচবে। সর্বোপরি দেশের আপমর জনগণ উপকৃত হবে। গত মঙ্গলবার দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশ লাইনসে আনুষ্ঠানিকভাবে ই-ট্রাফিক ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ পুলিশ চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শক (ডিআইজি) খন্দকার গোলাম ফারুক। পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার। পরে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথিসহ অন্যান্য অতিথিরা কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে দাঁড়িয়ে দু’টি গাড়িকে আটকের পর মামলা প্রদানের মাধ্যমে হাতেকলমে কার্যক্রমটি আনুষ্ঠানিকভাবে চালু করেন।