প্রশান্তি ডেক্স ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েলের বিরুদ্ধে ড্রেজারের মাধ্যমে অবৈধভাবে সরকারি খাস জমি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ফসলি জমি থেকে জোরপূর্বক মাটি ও বালু উত্তোলন করে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। গত বুধবার (১৩ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ক্ষতিগ্রস্তদের পক্ষে মোছাম্মৎ শারমীন আক্তার নামে এক নারী এ সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন। ইতোমধ্যে প্রশাসন চারটি ড্রেজার ও পাইপ জব্দ করেছে। লিখিত বক্তেব্যে শারমীন আক্তার বলেন, কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল, কসবা উপজেলা যুবদলের সদস্য সচিব শরীফুল হক স্বপন, পৌর কাউন্সিলর মো. সজীব ও বিনাউটি ছাত্রদলের সভাপতি সুমন চৌধুরী কসবা উপজেলার তিনলাখপীর এলাকায় রাস্তার পাশে সরকারি খাস জমি ও ব্যক্তি মালিকানার ফসলি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলন করছেন। জমিতে ৩শ’ ফুট গভীর করে ড্রেজার দিয়ে মাটি ও বালু উত্তোলন করে তমা গ্রুপের কাছে বিক্রি করে শত কোটি টাকা উপার্জন করেছেন। তিনি আরও বলেন, সরকারি খাস জমি থেকে মাটি ও বালু উত্তোলনের ফলে পাশে থাকা ব্যক্তি মালিকানাধীন ৩০ বিঘা ফসলি জমির সম্পূর্ণ অংশের মাটি ভেঙে গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। এতে শতাধিক কৃষক ভূমিহীন হওয়াসহ বসতভিটা এবং বিল্ডিংয়ে ফাটল দেখা দেয়ায় বসবাসে সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। পাশাপাশি জায়গার পাশে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবস্থিত হওয়ায় যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরণের ক্ষয়ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এ বিষয়ে ক্ষতিগ্রস্তরা অভিযুক্তদের সঙ্গে দেখা করলে তারা হামলা-মামলার ভয় দেখিয়ে বাড়ি ছাড়ার হুমকি দেন বলেও সাংবাদ সম্মেলনে উল্লেখ করেন শারমীন। সংবাদ সম্মেলনে শারমীন আক্তারের শ্বশুর বাছির মিয়া, ক্ষতিগ্রস্ত বাচ্চু মিয়া, বাবুল মিয়া উপস্থিত ছিলেন। তবে অভিযুক্ত কসবা পৌরসভার মেয়র এমরান উদ্দিন জুয়েল জানান, মাটি-বালু উত্তোলনের সঙ্গে তিনি জড়িত নন। তিনি হুমকির বিষয়টিও জানেন না।