এক রোগীর কারণে ৩৮ ডাক্তার-নার্স কোয়ারেন্টিনে…

প্রশান্তি আন্তর্জাতিক ডেক্স॥ ৬৫ বছর বয়সী ভারতীয় এক ব্যক্তি করোনভাইরাস পজেটিভ হয়েছেন। তবে, পরীক্ষায় দেরি হওয়ায় ওই হাসপাতালে চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ৩৮ মেডিক্যাল কর্মীকে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে। ওই রোগী থেকে তারা সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। লোকটির বাড়ি পাঞ্জাবের মোহালি জেলার নয়াগাঁ শহরে। তার করোনা পজেটিভ হওয়ার পর ভারতের এই প্রদেশটিতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭ জন। তাকে করোনা পজেটিভ হতে দেখে ডাক্তাররা অবাক হয়েছেন। কারণ এই ব্যক্তির মাঝে করোনার বড় কোন লক্ষণ ছিল না এবং তিনি করোনার প্রাদুর্ভাবের পরে কোথাও ভ্রমণ করেননি। গত ১৮ মার্চ, লোকটি জিএমএসএইচ -১৬ এ গিয়েছিলেন সাধারণ কাশির উপসর্গ নিয়ে। সে সময় ডাক্তাররা তাকে কিছু ওষুধ দিয়ে ছেড়ে ছিলেন।হাসপাতালটি চন্ডীগড়ে অবস্থিত এবং সেখানে কোভিড-১৯ পরীক্ষা ও চিকিৎসা করার জন্য পর্যাপ্ত সুবিধা নেই বলে জানা গেছে। এর কয়েকদিন পরে, চিকিৎসকদের একটি দল ওই বৃদ্ধকে দেখতে তার বাড়িতে গিয়েছিলেন। তখনও তারা ওই ব্যক্তির মাঝে কোভিড-১৯ এর কোনও চিহ্ন খুঁজে পাননি।জিএমএসএইচ -১৬ মেডিক্যাল পারিনটেনডেন্ট ডা. ভি কে নাগপাল ঘটনার ব্যাখ্যা করে বলেছেন যে, ১৮ মার্চ রোগী কাশির উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। তাকে কিছু ওষুধ দেওয়া হয়েছিল এবং বাড়িতে পাঠানো হয়েছিল। ২৫ শে মার্চ প্রবীণ ওই ব্যক্তি হাসপাতালে ফিরে এসে এক্স-রে রিপোর্ট নিয়ে যান, তবে তাকে সাধারণ নজরদারিতে রাখা হয়েছিল। চিকিৎসকরা তাকে কোয়ারেন্টিন করেননি বা কোনও করোনভাইরাস পরীক্ষাও করেনি। হাসপাতালটি সঠিক কোভিড-১৯ নির্দেশিকা অনুসরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে, যেখানে জ্বর বা কাশি হয়েছে এমন ব্যক্তিদের কোয়ারেন্টিন করার জন্য বলা হয়েছে। কাশি না সারায় লোকটিকে পরে পিজিআইয়ের জরযরি ওয়াার্ডে ভর্তি করা হয়েছিল, যেখানে তাকে সোয়াইন ফ্লুর পরীক্ষা করা হয়েছিল, যা নেতিবাচক ছিল। তখনও তার করোনভাইরাস পরীক্ষা করা হয়নি। অবশেষে ৩০ শে মার্চ, লোকটিকে কোভিড -১৯ এর জন্য পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং এতে তিনি করোনা পজেটিভ বলে ধরা পড়ে।

Leave a Reply

Your email address will not be published.