করোনাভাইরাস নামটি কীভাবে এলো

প্রশান্তি ডেক্স॥ জাপানের বিখ্যাত গাড়ি নির্মাতা কোম্পানি টয়োটার একটি গাড়ির নাম ছিল টয়োটা-করোনা। ঢাকার রাস্তায়ও একসময় অনেক টয়োটা-করোনা দেখা যেত। ১৯৫৭ থেকে শুরু করে ২০০১ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত গাড়িটি উৎপাদন অব্যাহত ছিল। যুক্তরাষ্ট্রের টাইপরাইটার তৈরির বিখ্যাত কোম্পানির নাম স্মিথ করোনা। করোনা শব্দটির সহজ অর্থ ‘মুকুট’। মানে কাঁটাযুক্ত কিছু। দুনিয়া উল্টেপাল্টে দেয়া করোনাভাইরাস তার নাম পেয়েছে নিজের কাঁটাযুক্ত গঠনের কারণে। নভেল করোনাভাইরাস বা কভিড-১৯-এর পুরো নাম সার্স-কোভ-টু। অন্যান্য করোনাভাইরাসের মতো সার্স-কোভ-টু’র গঠন গোলাকার এবং এর গায়ে গজাল বা কাঁটা আছে, যা স্পাইক প্রোটিন নামে পরিচিত। সব মিলিয়ে নভেল করোনাভাইরাসের গঠন করোনা বা মুকুটের মতো।কাঁটাগুলো ভাইরাসকে কোষে আটকে থাকতে সাহায্য করে। চোখ, মুখ কিংবা নাক দিয়ে নভেল করোনাভাইরাস মানুষে দেহের অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। এ ভাইরাস রিসেপ্টর বলে পরিচিত প্রোটিনযুক্ত কোষকে খুঁজে বেড়ায়। সুবিধামতো রিসেপ্টর পেলেই নভেল করোনাভাইরাস সেই কোষে আক্রমণ এবং বংশবৃদ্ধি শুরু করে। কভিড-১৯ তার রিসেপ্টর পায় ফুসফুসের কোষে।
সূত্র: ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক

Leave a Reply

Your email address will not be published.