ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ কসবা উপজেলার লক ডাউনের ফলে শ্রমজীবী মানুষের টানা ৬দিন কাজ কর্ম বন্ধ থাকায় এসকল মানুষের মধ্যে হতাশা নেমে এসেছে। ফলে সরকারী ও বেসরকারী পর্যায়ে ত্রাণ তৎপরতা শুরু হয়েছে। সরকার ইতোমধ্যে ১১ টন চাউল দশটি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় বরাদ্ধ করেছে।উপজেল নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলম জানান বরাদ্ধকৃত চাউল বিতরণ চলমান রয়েছে। ১০টি উনিয়নের প্রতিটি পরিবারের জন্য ১০ কেজি চাউল এবং পৌরসভায় তার সাথে পিয়াজ, রসুন, তেল ও ডালসহ অতিরিক্ত ৫০০টাকার মালামাল দেয়া হচ্ছে। উপজেলা চেয়ারম্যান জানান তিনি মন্ত্রী মহোদয়ের পক্ষ থেকে ১লাখ ২০ হাজার টাকার পিপিই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী ও পরিবার পরিকল্পনাকর্মীসহ প্রশাসনের লোকদের দেয়া হয়েছে। তবে আরো কিছু পিপিই’র জন্য সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছেন।এদিকে বেসরকারী স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি পর্যায়েও ত্রাণ সহায়তা দিয়ে আসছেন অনেকে। কসবা প্রেসক্লাব প্রথমে ৯৫০টি মাস্ক অটো চালক, রিক্শা চালক ও ছিন্নমূল মানুষের মাধ্যে বিতরণ করেছে। সিডিসি স্কুল ৪০টি শিক্ষক পরিবারের মধ্যে মাস্ক বিতরণ করেছে সিটিএল নামক একটি বেসরকারী সংগঠন। উপজেলার ৫০০ জনকে মাস্ক বিতরণ করেছে সংগঠনটি। তিতাস গ্যাস ফিল্ডের ম্যানেজার তসলিমুর রেজা পুর হেল্পলেস ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে কসবা ও আখাউড়া উপজেলার ৬০০ পরিবারকে খাদ্য সাহায়তা বিতরণ শুরু করেছে আজ সকাল ৯ টায়। প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি চাউল সহায়তা দিচ্ছে। উপজেলার চকচন্দ্রপুর গ্রামের বিশিষ্ট শিল্পপতি প্রকৌশলী নাজমুল হুদা প্রায় এক হাজার পরিবারের মধ্যে ৫ কেজি চালের সাথে ১ কেজি ডাল, ১ লিটার সয়াবিন, ১ কেজি রসুন বিতরণ করেছেন। উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক আবদুল হামিদ ওই ইউনিয়নে নিজস্ব অর্থায়নে আড়াইহাজার মাস্ক বিতরণ করেছেন।