প্রশান্তি ডেক্স॥ মাননীয় আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী এডভোকেট আনিছুল হক সঠিক ও যোগ্য ব্যক্তি আবিস্কার করেছেন এবং দীর্ঘদিন প্রশিক্ষণ দিয়েছেন এবং সর্বোপরি বিগত পাঁচটি বছর রাজনীতি এবং সেবা ও সততার সংগ্রামে প্রশিক্ষীত করে এলাকার মানুষের উন্নয়নে সমতা ও বন্টনে ন্যায্যতা আর ভালবাসা ও ক্ষমায় এক সুউচ্চ সুতিকাঘারে নিয়োজিত রেখেছেন জনাব রাশেদুল কায়সার জীবন সাহেবকে। তিনি দলকে যেমন সাজিয়েছেন ঠিক তেমনি করে সাজিয়েছেন উপজেলা প্রশাসনকেও যা জনাব আনিছুল হকের অভিপ্রায়। প্রতিটি কাজে সবার অগ্রজে থেকে আনিছুল হকের অভিপ্রায়কে বাস্তবায়ীত করে যাচ্ছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আবিস্কার আনিছুল হক এবং আনিছুল হকের আবিস্কার জীবন সাহেব উভয়েই আজ জাগ্রত হয়ে মানুষের প্রয়োজনের যোগান হিসেবে কাজ করে যাচ্ছেন। রাষ্ট্রীয় সেবার সঙ্গে নিজের ব্যক্তিগত অর্জন দিয়েও গ্রাম বাংলার আপামর জনসাধারণের সেবা করে সেবার ইতিহাসে নিজেদেরকে অবিস্মরণীয় এক উচ্চতায় দাঁড় করিয়ে রেখেছেন।
কসবা ও আখাউড়ার মানুষ ভোক্তভোগী বা উপকারভোগী। শুধু তাই নয় মন্ত্রী হিসেবে আনিছুল হক সারা দেশের মানুষের কল্যাণেই কাজ করে যাচ্ছেন নিরলসভাবে। আর তারই ¯েœহের অনুসারী এবং ইচ্ছার বহি:প্রকাশ বাস্তবায়নকারী এডভোকের রাসেদাল কায়সার জীবন (বর্তমান কসবা উপজেলা চেয়ারম্যান) রাত-দিন কাজ করে যাচ্ছেন। এমন কোন দুর্যোগ নেই যেখানে জীবন সাহেবের নিরলস বিচরণ নেই। মন্ত্রীর সমাধান এবং জীবন সাহেবের সমাধান একইসুত্রে গেঁথেই দৃষ্টান্তের অগ্রজে আজ কসবা ও আখাউড়া।
করোনা মহামারিতে ত্রান বিতরণে এগিয়ে রয়েছেন আমাদের অহংকারের দুই রতœ। সরকারী ত্রান ও বেসরকারী উগ্যোগে নেয়া ত্রান পৌঁছে দেয়ার গ্রহনযোগ্যতাই আগামীর দৃষ্টান্ত হয়ে থাকেব। পাশাপাশি রোগী শনাক্ত, মৃত্যের মাটি দেয়া এমনকি ভীতির উদ্ধে উঠে গ্রহণযোগ্যতার ও সম্মান এবং শ্রদ্ধার সবকিছুই দৃশ্যমান রেখে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। তাদের তৈরী স্বেচ্ছাবেক দলগুলোও নিবেদিতপ্রাণ হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। মাঠ প্রশাসনসহ দলীয় সংগঠনের একাগ্রতায় স্থানীয় জনগণের সমন্বয়ে কাজ করার ক্ষেত্রে এডভোকেট রাসেদুল কায়সার জীবনের বিকল্প নেই। তিনি দেখিয়েছেন, শিখিয়েন এবং দৃষ্টান্ত রেখেছেন আগামীর জন্য।
লাশ দাফনে বাধা এবং নানান ধরণের জটিলতায় কাজ করেছেন শন্তি এবং স্থিতিশীলতায়। যেমন হাজারো ঘটনার মধ্যে একটি ঘটনা উল্লেখ করেই লিখার যবনিকাপতা টানতে চাই। গ্রামবাসীর বাধায় দাফন করতে না পেরে ছেলের লাশ নিয়ে রাস্তায় বসে ছিলেন বাবা-মা। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রাস্তায় পড়েছিল লাশ। খবর পেয়ে গভীর রাতে কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও কসবা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন।
মৃতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পরিবার নিয়ে চাঁদপুরে থাকতেন ফার্মেসি দোকানি রাজীব (৩৬)। তার পৈত্রিক নিবাস ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের সাগরতলা গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে।
জ্বর, কাশি ও শ্বাসকষ্ট থাকায় শনিবার দুপুরে রাজীবকে চাঁদপুর শহরের এটি হাসপাতালে নেয়া হয়। কিন্তু অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন। ঢাকায় নেয়ার পথে বিকাল ৪টার দিকে রাজীবের মৃত্যু হয়।
পরবর্তীতে তার বাবা-মা লাশ পারিবারিক কবরস্থানে দাফনের জন্য সাগরতলা গ্রামে নিয়ে আসলে গ্রামবাসী লাশ দাফনে বাধা দেন। এর ফলে ছেলের লাশ নিয়ে রাস্তায় বসে থাকেন রাজীবের বাবা-মা। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত রাস্তায় পড়েছিল রাজীবের লাশ। কিন্তু কেউই রাজীবের লাশ দাফনে এগিয়ে আসেননি।
এ ঘটনার খবর পেয়ে কসবা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন গ্রামের মানুষদের সঙ্গে কথা বলে লাশ দাফনের ব্যবস্থা করেন। রাত দেড়টার দিকে কাফনের কাপড়ের দোকান খুলিয়ে কাপড় কিনেন চেয়ারম্যান জীবন। এরপর স্থানীয় এক মসজিদের ইমামকে ডেকে কসবা থানার (ওসি) লোকমান হোসেনকে নিয়ে জানাজার নামাজ পড়েন। এরপর পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয় রাজীবের লাশ।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কসবা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট রাশেদুল কাউসার ভূইয়া জীবন জানান, করোনাভাইরাসে মৃত্যু হয়েছে মনে করে গ্রামের লোকজন লাশ দাফনে বাধা দিয়েছিল। রাজীবের বাবা-মা তার লাশ নিয়ে রাস্তায় বসেছিল। আমি খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানকে গ্রামবাসীদের সঙ্গে কথা বলে মসজিদের ইমাম ডেকে এনে জানাজার নামাজ পড়েছি। এরপর থানার ওসি ও ছাত্রলীগের ছেলেদের নিয়ে লাশ দাফন করি।
শুধু কি তাই তিনি নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছেন বাংলাদেশ সরকার এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিপ্রায়ে আনিছুল হকে দিক নির্দেশনায়। তাই কসবা আজ নিরাপদ এবং শান্তি ও স্থিতিশীলতায় পরিপূর্ণ। নিন্দুকদের বলছি সমালোচনা নয় বরং শিক্ষানিয়ে আগামীর কল্যাণের তরে এগিয়ে যান। নিজেদের জীবনের স্বপ্নগুলি মানব কল্যাণে নিয়োজিত করুন।