করোনা নিয়ে ভাবতে কার না ভাল লাগে বলতে পারেন? হ্যা আমি একশত ভাগ নিশ্চিত করে বলতে পারি আমার একটুও ভাল লাগে নি এই করোনা বিষয়টি। এতে আমার মনে অনেক কষ্টের উদয় হয়। তবে করোনাকে নিয়ে প্রথম থেকেই আমি সরব ছিলাম এবং আছি ও থাকব। কারণ এই সরবের পেছনেই রয়েছেন আমাদের সৃষ্টিকর্তা খোদা তায়ালা। আসল বিষয় হলো করোনাকে নিয়ে খোদার কি চিন্তা বা অভিপ্রায় তা ভাবার কি কেউ নেই ? তবে যদি থাকেন তাহলে কেন খোদার ইচ্ছার প্রতি গুরুত্ব দিয়ে কার্যে পরিণত করেন না। আমি বলতে চাই আসুন সকলে মিলে খোদার ইচ্ছাকে জীবনে প্রাধান্য দিয়ে এগিয়ে যাই। করোনা মোকাবেলা খুবই সহজ এবং স্বাভাবিক জীবনের নিশ্চয়তা খোদা আমাদেরকে দিয়েছেন এবং দিয়ে যাচ্ছেন। তাই এই করোনা নিয়ে ভাবার সময়টুকু খোদার সান্নিধ্যে কাটালে অনেক ভাল হয়। পাশাপাশি করোনাকে নিয়ে সময় নষ্ট না করে দুনিয়াবী কাজে ব্যায় করলেই আরো ভাল হবে এমনকি দুনিয়াবি কল্যানের সফলতা হাসিল হবে।
করোনাতে আমার অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে ঈমান, আমল এবং বিশ্বাস ও খোদার প্রতি নির্ভরতা নিয়ে। আরো অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে খোদার সঙ্গে সার্বক্ষণিক সান্নিধ্য লাভের। তারচেয়ে বেশী অভিজ্ঞতা হয়েছে খোদা কোথায় থাকেন তা নিশ্চিত হওয়ার। তবে সবই শুভ সংস্কার এবং এর প্রাথমিক ধাপ হলো করোনা ভীতি। করোনা ভীতি ছড়ানোর ক্ষেত্রে যারা যারা এই পর্যন্ত সংযুক্ত রয়েছেন তাদেরকে একটু চিনে রাখুন। তারা কার দালাল বা কার হয়ে কাজ করছে। যদি বলি তারা দুনিয়াবী হাছিলের তরে কাজ করছেন এমনকি শয়তানের ইচ্ছা পূরণের তরে মরিয়া হয়ে ছুটছেন। তবে বিশ্বের বেশীরভাগ মানুষ এখন ঐ ভীতির কাছে পরাজিত। তবে যতই দিন যাচ্ছে ততই মানুষের জ্ঞানচক্ষু খোলে যাচ্ছে এমনকি সৃষ্টিকর্তার অভিপ্রায় ও আকাঙ্খার দিকে মনোনিবেশ করছে। সৃষ্টিকর্তার সান্নিধ্যে মানুষ শয়তানকে এবং এর দোসড়দেরকে ভালোভাবে চিতনে পারবে। আর তখনই করোনা ভীতি দূর হবে এবং পৃথিবী থেকে করোনা বিতাড়িত হবে।
বাংলাদেশে করোনা এসেছে এবং আক্রমনও করেছে কিন্তু এর প্রতিক্রিয়ায় কি আমরা উজ্জীবিত হয়েছি বা সৃষ্টিকর্তার কাছে নিজেদেরকে সমর্পন করেছি; তৌবা করেছি বা বিপদ থেকে বেঁচে থাকার যাচনা করেছি এমনকি নিজেদের ভুল শুধরিয়ে শুদ্ধ জীবনে ফিরে এসেছি? না কোনটিই করিনি। বরং পূর্বের কাজে বা দুনিয়াবী ধন-দৌলতের মোহে আরো ভয়ঙ্কর ও ভয়াবহতম কাজ করে যাচ্ছি প্রতিনিয়ত। তাই করোনা কি কোন শিক্ষা দিতে পেরেছে; না পারেনি বরং করোনা পরাজিত হয়েছে আমাদের শয়তানির কাছে। করোনার মতই এক অদৃশ্য শক্তির মোহে আমরা আমাদের বিবেক বিসর্জন দিয়ে সকল অনৈতিক কাজে সায় দিয়ে যাচ্ছি। কেন জানেন কি? এই অবস্থার জন্য দায়ী কে? এককথায় হলো শয়তান।
বিশ্বের জ্ঞানী ও গুণীজন আজ কোথায়? কেন তারা করোনার রহস্য উন্মোচন করতে পারেননি। কিসের অভাব তাদের? ডাক্তার ও বিজ্ঞানীরা কি কিছুই করতে পারেন না? না না না। এটাই সঠিক বাস্তবতা। তবে এই ক্ষেত্রে একটি বিষয় স্পষ্ট যে, করোনা রূপ বদলায়; একেক দেশে একে আচরণের বহি:প্রকাশ ঘটেছে। যেমন সবাই বলে করোনা ছোয়াচে রোগ; কেউ বা বলে এটি হাতের কন্টাকে ছড়ায়; আবার কেউ বা বলে এটি নাকে, চোখে ও মুখের দ্বারা ছড়াই। কিন্তু বাস্তবে এটি ভিন্ন ভিন্ন রূপ প্রকাশ করে। কিভাবে যারা হাত, মুখ, নাক ও চোখ কে সর্বদা নিরাপদ রেখেছেন তারা কিভাবে আক্রান্ত হয়েছেন? এর কোন ব্যাখ্য এখনও পাওয়া যায় নি। কেউ কেউ বলেছেন জনসমাগম এড়িয়ে চলতে; তবে যারা কোন জনসমাগমে যায়নি এমনকি কারো কোন কন্টাকেও যায়নি- তারা কেমন করে আক্রান্ত হয়েছেন? আবার কেউ বলে আক্রান্ত ব্যক্তির হাচি-কাশির মাধ্যমে এ ছড়ায়। তবে যে ব্যক্তি আক্রান্ত কিন্তু কোন লক্ষ্যন নেই বা তার কোন হাচি বা কাশি এমনকি শব্দি, জ্বর, ব্যাথাসহ কোন উপসর্গই নেই তাহলে কিভাবে তার মাধ্যমে এ রোগ ছড়াই। সবই প্রশ্ন আকারে মানব মনে দানা বাধে। তবে আক্রান্ত অনেকেই মৃত্যুবরণ করেন দ্রুত আবার আক্রান্ত অনেকেই সুস্থ্য হয়ে বাড়ি ফিরেন। বলতে পারেন এর রহস্য কি? সমিকরণ খুবই সহজ। ভাবুন এবং খোদার দেয়া জ্ঞান খোদায়ী ইচ্ছায় ব্যবহার করে ফলাফল জানুন।
বিজ্ঞজনরা বা বিশেষজ্ঞরা করোনা নিয়ে বিভিন্ন কথা বলে বেড়ান কিন্তু কোন সুরাহা দিতে পারেন না। তবে জানেন কেন? তারা কিন্তু তাদের বর্তমান, অর্তীত ও ভবিষ্যত সম্পর্কে জানেন না। আক্রান্ত ও মৃত্যু ব্যক্তি নিয়ে নানান কাহিনীর জন্ম হয়েছে এবং বহু মেকারবিহীন নাটক মঞ্চস্থ্যও হয়েছে এমনকি জনগণ দেখেছে ও শুনেছে; তবে কোনটাই সুখকর ছিল না। তবে একটি বিষয় ছিল যে, ভীতির উপস্থিতি ও অতিরিক্ত এবং অতিরঞ্জিত নিষেধাজ্ঞা বা পরামর্শের নেতিবাচক ফল। তবে এখন আবার বিভিন্নজনের মতামতের সূর বদল হয়েছে। ঔষধ নিয়ে, মৃত্যু ব্যক্তির দাফন-কাফন নিয়ে, আক্রান্ত ব্যক্তির পরিচর্চা নিয়ে। তবে সবই মানুষের ক্ষুদ্র জ্ঞানের ধারনার ফল মাত্র। তবে কোনটিই সর্বশক্তিমানের ইচ্ছা বা আকাঙ্খা ও আভিপ্রায় নয়। তাই আমাদের উচিত সৃষ্টিকর্তার শক্তিতে বলিয়ান হয়ে করোনার মত অদৃশ্য মহামারি বা শয়তানের শয়তানি ও ভীতি দুরভীত করা। সময় এখনই আমাদের তাড়া দিচ্ছে সামনে এগিয়ে যেতে প্রস্তুত আছেন তো…..?
খোদায়ী জ্ঞান ব্যবহারের বিভিন্ন মাধ্যমে রয়েছে; খোদার সৃষ্টি দ্বারাই মানুষ এই ভীতিকে প্রতিহত করতে পারে। আমার পরিচিত অনেকেই কোন ঔষধ ছাড়াই করোনা আক্রান্ত থেকে মুক্ত হয়েছেন এবং হচ্ছেন তবে ইউনানি ও আয়ূবেদিক ঔষুধ সেবন করে যাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার করোনা পজেটিভ রিপোট কিন্তু শরীরে কোন লক্ষণ নেই। তবে পরীক্ষা এবং করোনা নিয়েই আমার যত প্রশ্ন এবং অবিশ্বাস। আমি এমনও দেখেছি করোনা আক্রান্ত পরিবারের সদস্যরা কিন্তু পাশাপাশি এমনকি একসঙ্গেই বসবাস করেছে ও করে যাচ্ছেন কিন্তু কেউ কেউ আক্রান্ত হয়েছে আবার কেউ আক্রান্ত হননি। এতো মাখামাখির মাঝেও যদি তারা রক্ষা পেতে পারেন তাহলে ঐসকল জ্ঞানী বা বিশেষজ্ঞরা কেনইবা এত ভীতির সঞ্চার ঘটিয়েছেন? জবাব দেবেন কি? তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জারি জুরি ফাস হয়েছে এই করোনায় এমনকি এই ধরণের সংস্থার আধৌ কোন প্রয়োজন আছে কি-না তাও এখন ভাবার বিষয়। তাদের চিনার জন্য একজন ট্রাম্পই যথেষ্ট এবং করোনাকালীন সময়ে তাদের বক্তব্য ও পরামর্শ একটু মিলিয়ে দেখলেই দিবালোকের মত স্পষ্ট হবে যে, শয়তান এখন কোথায় কোথায় বসবাস করছে এবং কিভাবে মানুষকে ভীতি সঞ্চারের মাধ্যমে পৃথিবীর নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে।
আসুন আমরা সকলেই করোনা ভীতির উদ্ধে উঠে স্ব স্ব অবস্থান থেকে সাহস সঞ্চয় করে খোদার কালাম দিয়ে করোনাকে জয় করি। মানুষ মানুষের সৃষ্ট দুরত্ব দুর করি এবং আগের ন্যায় জীবন সংগ্রামে নিয়োজিত হই। ভয়কে জয় করার একমাত্র হাতিয়ার হলো ভালবাসা এবং ক্ষমা। মহান খোদা তায়ালা আমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং করছেন; তিনি আমাদেরকে ভালবাসেন। তাই তাঁর ক্ষমা ও ভালবাসায় আমরা সিক্ত হই এবং নিশ্চিত জীবনের স্বাধ আস্বাধনে ভয়কে জয় করে এগিয়ে যাই। কারো কথায় নয়; কারো প্ররোচনায় নয় বরং সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় এবং তাঁর বাক্য বা কালামের দিক নির্দেশনায়। তাহলেই সঠিক জীবন ও গন্তব্য এবং পৃথিবীর সকল অনাচারের জঞ্জাল মুক্ত করা সম্ভব হবে। সকলের প্রতি এই প্রশ্নগুলি রেখেই আজকের সম্পাদকীয় শেষ করলাম।