প্রশান্তি আন্তজার্তিক ডেক্স ॥ চীনের ৮২ বছর বয়সী এক নারী ও তার ৬৪ বছর বয়সী মেয়ে লিফটে আটকা পড়া অবস্থায় চারদিন ছিলেন। জীবন বাঁচাতে এ সময় তারা একে অন্যের প্রস্রাব পান করেছেন। জানা গেছে, চারতলা বাড়িতে লিফটে আটকা পড়েছিলেন ওই মা-মেয়ে। লিফটের ভেতর তাদের কাছে কোনো খাবার ছিল না। এমনকি ফোন করারও কোনো ব্যবস্থা ছিল না। কোনো উপায় না পেয়ে একে অন্যের প্রস্রাব পান করতে বাধ্য হন তারা। আর প্রস্রাব পান করার ক্ষেত্রে কোনো সরঞ্জামও ব্যবহার করতে পারেননি তারা। দু’হাতে একজনের ‘ইউরিন’ ধরে তা অন্যজন পান করেছেন। ৯৬ ঘণ্টা লিফটের ভেতর আটকে থাকার পর চীনের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের শানঝি প্রদেশের দমকল বাহিনী তাদের উদ্ধার করে। উদ্ধার করেই তাদের হাসপাতালে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসার পর হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেতেই সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তারা ৯৬ ঘণ্টা বেঁচে থাকার চরম পরিস্থিতির বর্ণনা দিয়েছেন। ডা. ইন তাদেরকে চিকিৎসা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, লিফটে আটকে থাকা অবস্থায় মেয়ের কাঁধে ওঠেন তার মা। এরপর লিফটের ভেতরের তাপমাত্রা কম রাখার জন্য বাল্ব ভেঙে ফেলেন। তিনি আরো বলেন, এরপর তারা বাল্বের ভেতরের সামান্য লোহা টেনে বের করে লিফটের দরজার মাঝখানে ঢুকিয়ে দেন। তাতে সামান্য ফাঁকা জায়গা তৈরি হলে সেদিক দিয়ে বাতাস আসতে থাকে। মা ও মেয়ে পালাক্রমে লিফটের সামান্য সেই ফাঁকা জায়গা দিয়ে আসা অক্সিজেন টেনে নিতেন। এভাবে টানা চারদিন ও তিনরাত তারা লিফটে আটকে ছিলেন। চারদিনের বেলায়, তারা লিফটের দরজা কিছুটা ফাঁক করে সাহায্যের আহ্বান জানাতে পেরেছেন। ডা. ইন বলেছেন, ওই দুই নারী বুদ্ধি করে একে অপরের ‘ইউরিন’ না পান করলে বেঁচে থাকাটা সম্ভবত সম্ভব হতো না। সূত্র : ডেইলি মেইল