প্রশান্তি ডেক্স ॥ দামি উপহার পাঠানোর লোভ দেখিয়ে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া সংঘবদ্ধ চক্রের ৪ নাইজেরিয়ান নাগরিক ও এক বাংলাদেশি নারীকে আটক করেছে র্যাব ৪। গত শুক্রবার (৬ আগস্ট) র্যাব ৪ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার সাজেদুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয় ও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করে দামি উপহার পাঠানোর লোভ দেখিয়ে অভিনব পদ্ধতিতে অনেক লোকের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিলো একটি সংঘবদ্ধ চক্র।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও তথ্য উপাত্তের ভিত্তিতে গত বৃহস্পতিবার রাতে রাজধানীর কাফরুল ও পল্লবী থানাধীন এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের ৪ জন নাইজেরিয়ানসহ মোট ৫ জনকে আটক করা হয়।
এই গ্রুপের টুম্পা আক্তার নিজেকে বাংলাদেশের একজন কাস্টমস কর্মকর্তা হিসেবে পরিচয় দিয়ে আসছিলেন। আটকদের থেকে দুইটি মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট, ব্যাংকে অর্থ জমার বই, চেকবই, ১২টি মোবাইল ফোন, একটি প্রাইভেট জিপ গাড়ি, নগদ তিন লক্ষাধিক টাকাসহ হোয়াটসঅ্যাপ-ইমো-ফেসবুকে কথোপকথনের স্ক্রিনশটের কপি জব্দ করা হয়।

আটকরা হলেন- নাইজেরিয়ান অনুরাহ নামদি ফ্রাংক (৩২), উদেজ ওবিনা রুবেন (৪১), ম্যাকদুহু কেভিন (৪১), ফ্রাংক জ্যাকব (৩৫) ও বাংলাদেশি টুম্পা আক্তার (২৩)।
র্যাবের এই কর্মকর্তা বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, দীর্ঘদিন যাবৎ ঢাকায় থাকা নাইজেরিয়ান নাগরিকদের একটি চক্র অভিনব কায়দায় বিপরীত লিঙ্গের ব্যক্তিদের সাথে বিভিন্ন সময়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম-হোয়াটসঅ্যাপ, ইমো, ফেসবুক ইত্যাদি দ্বারা নিজেদেরকে আমেরিকান নাগরিক হিসেবে প্রকাশ করে।
পরবর্তীতে একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরির পর এক পর্যায়ে দামি উপহার বাংলাদেশে পাঠানোর প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার জাল বিছানো হয়। কিছুদিন পর বাংলাদেশের কাস্টম অফিসার পরিচয়ে এক নারী উপহার আসার কথা বললে তার বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ে এবং পার্সেলটি ছাড়াতে কাস্টমস ভ্যাট/শুল্ক বাবদ টাকা জমা দিতে হবে বলে জানায়। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী সেই বিদেশি প্রতারক বন্ধুকে জানালে বাংলাদেশি বিভিন্ন ব্যাংকে টাকা পাঠানোর কথা বলে লাখ লাখ টাকা পাঠানোর কথা বলে এবং শেষে সে অর্থ আত্মসাৎ করে।