বন্ধুর সঙ্গে ফেসবুকে ছবি পোস্ট, স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারল স্বামী!

প্রশান্তি ডেক্স ॥  কিছুদিন আগেই গেলো বন্ধু দিবস। বন্ধুত্বের দিন, বন্ধু দিবস। প্রত্যেকেই নিজের মতো করে বন্ধুত্বের দিন উদযাপন করেছেন। নিজের ছোটবেলার বন্ধুর সঙ্গে তোলা একটা ছবি ফেসবুকে শেয়ার করার মূল্য যে নিজের জীবন দিয়ে চোকাতে হবে, তা হয়তো দুঃস্বপ্নেও ভাবতেও পারেননি ভারতের পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনার বড়ঘড়ি এলাকার বাসিন্দা পায়েল হালদার।

স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করে পেট্রোল ঢেলে জ্বালিয়ে দেন স্বামী, এমনই অভিযোগ পায়েলের পরিবারের। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য কালনার নিচুজাপট এলাকায়।

কালনারও এক বেসরকারি সংস্থার মালিক অভিজিৎ বর্মনের সঙ্গে পায়েলের বিয়ে হয়েছে তাও ১০ বছর পেরিয়ে গিয়েছে। কিন্তু এই দশ বছরে যে সম্পর্কের বুনিয়ার শক্ত হয়নি একফোঁটাও তারই প্রমাণ মিলল।

পায়েলের বাবার দাবি, অভিজিতের মায়ের প্রথম থেকেই পণ নিয়ে একটা আফসোস ছিলই। তার দাবি, বেয়ান বলেছিলেন ছেলেকে অন্য জায়গায় বিয়ে দিলে অনেক কিছুই পেতাম।

স্বাভাবিকভাবেই পণ নিয়ে যে পায়েলের শ্বশুরবাড়িতে ক্ষোভ রয়েছে, তা বুঝতে সময় লাগেনি। তবুও সংসারে মেয়েকে মানিয়ে চলারই পরামর্শ দিয়েছিলেন পায়েলের বাবা-মা। অত্যাচার চলতো আগে থেকেই। পায়েলের ছেলে হওয়ার পরও অত্যাচার কমেনি একফোঁটাও।

কয়েকদিন আগে একটি রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছিলেন পায়েল। সেখানে তার এক পুরোনো বন্ধুর সঙ্গে দেখা হয়েছিল। সেই বন্ধুর সঙ্গে নিজের সন্তান ও পরিবারের কয়েকজনকে নিয়ে একটি নিজস্বী তোলেন। ফ্রেন্ডশিপ ডে তে ফেসবুকে সেই ছবি পোস্ট করেছিলেন তিনি।

এটাই হয়ে যায় অপরাধ। অত্যাচারের সীমা ছাড়ায় শ্বশুরবাড়িতে। অভিযোগ, স্বামী মারধর করতে থাকেন। পায়েলের শ্বশুরবাড়ির বক্তব্য, ছেলেদের মেয়ে বন্ধু থাকতেই পারে, কিন্তু মেয়েদের কেন ছেলে বন্ধু থাকবে?

পায়েলের বাবার বাড়ির লোকজনের অভিযোগের ভিত্তিতে শাশুড়িসহ দু’জনকে আটক করে কালনা থানার পুলিশ। সূত্র: জি নিউজ।

Leave a Reply

Your email address will not be published.