প্রশান্তি ডেক্স ॥ বরিশালের বানারীপাড়া উপজেলায় ৮টি ইউনিয়ন। যার মধ্যে ৫টি ইউনিয়নই সন্ধ্যা নদীর পশ্চিম পাড়ে। নিত্যদিনের প্রয়োজনে ভোর থেকে মাঝরাত অবদি এ জনপদের হাজারো মানুষকে পাড়ি দিতে হয় শহরে। নদী তীরের এ অঞ্চল থেকে অহরহ শিক্ষার্থী বানারীপাড়া পৌর শহর ও বরিশালের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যায় পড়াশোনা করতে। সবাইকেই যেতে হয় নদীপথ পাড়ি দিয়ে।
শুধু নদীপথ পাড়ি দেয়ার কষ্ট আর দুর্দিনে থেমে নেই জনজীবন। গত কয়েক মাস ধরে স্থনীয় ফেরি ঘাট গ্যাংওয়ের সংযোগ সড়কটির অবস্থা একেবারে নাজুক। যানবাহন এবং মানুষের চলাচলের কারণে সংযোগ সড়কটি অনেকটা নিম্নগামী হয়ে যায়। আর এতেই জোয়ারের পানিতে তলিয়ে থাকে সড়কটির
অনেকাংশ।

এছাড়া, দীর্ঘদিনেও সংস্কার না করায় সড়কটিতে খানাখন্দের সৃষ্টি হয়। ফলে স্বাভাবিক জীবনযাত্রায় চরম ভোগান্তিতে পড়েন উপজেলার পশ্চিম তীরের প্রায় লক্ষাধিক মানুষ। র্দীঘদিন ধরে চলা জনমানুষের এ দুর্ভোগ-দুর্দশা চোখে পড়ে বানারীপাড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. ফোরকান আলী হাওলাদারের। তারপর তিনি জনগণের চলাচলের ভোগান্তির ব্যাপারটি দেখামাত্রই বরিশালের সংরক্ষিত সংসদ সদস্য এ্যাডভোকেট সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরাকে জানান।
যেই কথা সেই কাজ! এমপি মিরার অর্থায়নে গেলো গত ৬ আগস্ট (বৃহস্পতিবার) বেহাল ওই সড়কের সংস্কারের কাজ শুরু করে উপজেলা ছাত্রলীগ। বেহাল সড়ক সংস্কারের ফলে স্বস্তি ফিরে পেয়েছে উপজেলার হাজারো মানুষ। সে সময়, বরিশাল সড়ক ও জনপদ বিভাগ এ কাজে সহযোগিতা করেন। বানারীপাড়া পৌরসভার মেয়র এ্যাডভোকেট সুভাষ চন্দ্র শীল রোলার মেশিন দিয়ে ওই কাজে সহায়তা করেন।
ছাত্রলীগ নেতা ফোরকান আলী হাওলাদারের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন ছাত্রলীগের কর্মী সড়কটির সংস্কার কাজে যুক্ত হন। র্দীঘদিন পড়ে থাকা উপজেলার ৫ ইউনিয়নের বাসীর প্রবেশ পথের সড়কটি প্রান ফিরে পাওয়ায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এমপি সৈয়দা রুবিনা আক্তার মিরা, উপজেলা ছাত্রলীগ ও স্থানীয়রা।