মানুষ মানুষের জন্য এবং জীবন জীবনের জন্য। এই কথাটি মাঝে মাঝে সত্যে পরিণত হয় আবার মাঝে মাঝে তিক্ত অভিজ্ঞতার জন্য মিথ্যায় পর্যবসিত হয়। বিশ্ব মানবতা এবং মানবিক আচরণের তারতম্যে কখনও কখনও মানবতা বিসর্জনের ইতিহাস রচিত হয়। মানবিক আচরণ এবং মানবিক মানুষগুলোর অব্যাহত চর্চার প্রচেষ্টায় কখনো কখনো মানবতা আস্তায়ও পর্যবসিত হয়। তবে স্থায়ী রূপ লাভ করতে এখনও ভুমিকা রাখতে পারেনি এমনকি জনমনে আস্থার জায়গা তৈরী করতে পারেনি। আমরা এই মানবিকতা এবং মানবতাকে যেন আর ব্যবসায়ীক পণ্যে রূপান্তরিত না করি সেই দিকে লক্ষ্য দেয়া অতিব জরুরী।
বিশ্বের মত আমাদের দেশেও এই মানবতা নিয়ে অনেক মানবিক ফাউন্ডেশন বা সংস্থা কাজ করে যাচ্ছে কিন্তু এর ইতিবাচক প্রভাব মানুষের মনে কমই প্রতিফলিত হচ্ছে। আমরা সবাই চেষ্টা করে যাচ্ছি কিন্তু কোথায় যেন চেষ্টার কমতি বা ঘাটতি রয়ে গেছে। এই ঘাটতি বা কমতির জায়গায় কাজ করা এখন সময়ের উর্বর দাবি। যদি এই দাবি পুরণে পিছপা হই বা কাজ করতে অসামর্থ হই তাহলে সমাজ ও পারিবারিক জীবনে এমনকি রাষ্ট্রীয় জীবনে বহুবিধ জুকির পরিমান চুড়ান্ড পর্যায়ে গিয়ে ঠেকবে।
সদ্য অপঘাতে মুত্যবরণকরীর ঘটনার পুনরাবৃত্তি অতিতেও হয়েছিল বলেই বর্তমানে তা এখনও দৃশ্যমান এবং ভবিষ্যতেও যে হবে তার বহুবিদ কারণ অন্তনিহিত রয়েছে। আমাদের এখন অতিতের দিকে দৃষ্টিপাত দিয়ে বর্তমানকে সামনে রেখে ভবিষ্যতকে সুনিশ্চিত করার জন্য জোড় প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। একজন মেজরের মৃত্যুই কিন্তু ঘটনা নয় বরং একজন মানুষের মৃত্যুই বড় সমস্যা ভেবে অতিত এবং বর্তমানের সমন্বয়ে কাজ করতে হবে ভবিষ্যতকে সুনিশ্চিত করার জন্য। পুলিশ এবং আইএসপি আর এর মধ্যে সমস্যাটিকে সিমাবদ্ধ না রেখে বরং মানবিক ও মানবতার চর্চার ঘাটতি এমনকি মুল্যবোধের অবক্ষয়ের সিমাবদ্ধতায় মেপে দায়িত্ব পালনের মানদন্ডগুলোকে সচল করে আধুনিকায়নে মনযোগ দিয়ে কাজ করার চর্চার জাগ্রত রূপ বাস্তবায়ন প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এর চাহিদানুযায়ী যোগান দিতে হবে।
আইনের ফাকফোকর গলে বরফ বের হওয়া বন্ধ করতে হবে। আইনকে সংশোধন ও সংযোজন এবং বিয়োজনের মাধ্যমে আইনের প্রয়োগের কঠোরতা অব্যাহত রাখতে হবে। শত্রুকে মোকাবেলা বা ধ্বংস করতে কোন ক্রমেই আইনের ব্যত্ব্যয় ঘটানো যাবে না এমনকি আইনকে অপকৌশল হিসেবে ব্যবহার করা যাবে না অথবা আইন নিজের হাতে তুলে নেয়ার মানষিকতায় পরিবর্তন আনয়ন করতে হবে। ক্ষমতা দেখানোর মানুষিকতা বন্ধ করতে হবে এমনকি সেবার মানদন্ড নিত্তির পাল্লায় মেপে ঠিক করতে হবে। পুরুনো সকল অপচেষ্টা এবং অপপ্রয়োগ এমনকি ব্যবহার বন্ধ করার যাবতীয় কৌশল এবং পদক্ষেপ ও পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করে যেতে হবে। এখন থেকে আর এই ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটবে না নয় বরং আগে যেগুলো ঘটেছে সেই আলোকে বিচার প্রক্রিয়া সচল করে বিচার প্রার্থীদের বিচারের প্রত্যাশা পূরণ করে দৃষ্টান্ত রাখতে হবে যাতে আগামির নিশ্চয়তা সুনিশ্চিত হয়।
সরকার প্রধান থেকে শুরু করে দেশের প্রতিটি মানুষ যে আকাঙ্খা পোষণ করে তার বাস্তবায়ন সুনিশ্চিত করাই এখন রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তবে কখনো কখনো এই দায়িত্ব পালনে গাফিলতি পরিলক্ষিত হয়েছে বা হবে এই কারনগুলো ক্ষতিয়ে দেখে নিতে হবে যাতে করে আগামীর পরিকল্পনা বাস্তবায়ন সুনিশ্চিত হয়্। সরকার প্রধান যাতে করে নতুন নতুন আদেশ ও গুরুত্ব দিতে না হয় সেইদিকে লক্ষ্যদিয়ে ন্যায় বিচার, দায়িত্ব পালন এবং সেবার ভুমিকায় স্ব স্ব ক্ষেত্রে সকলকে দায়িত্ব পালনের গুরুদায়িত্ব সমুন্নত রাখতে চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। আর তখনই দেশ সমাজ ও রাষ্ট্র সফল হিসেবে পর্যবসিত হবে। সরকার প্রধান দেশোন্নয়নে আরো মনোযোগী হয়ে সময় নিয়ে দেশকে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সম্মানের স্তরে পৌঁছাতে পারবে।
মানবতার এবং সংগীয় সেবার যে বিপর্যয় এখনো বিরাজমান রয়েছে তা দূরীভ’ত করতে যা যা প্রয়োজন তা দ্রুতই করতে হবে। চুরী, ছিনতাই, খুন, রাহাজানি, অর্থ আত্মসাৎ, জবর দখল, অবৈধ ক্ষমতা প্রদর্শন সবই নির্মূলে কাজ করতে হবে আর তাই করার ক্ষেত্রে স্ব স্ব দায়িত্ব পালনের শতভাগ শততা নিশ্চিত করে মানবতাকে প্রাধান্য দিয়ে মানবিক হতে হবে এমনকি পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সকল পর্যায়ে বিচারের মানদন্ড নিত্তি হিসেবে ব্যবহারে পরিণত করতে হবে।
করোনার ছোবলে ধ্বংসপ্রাপ্ত মানবতাকে পুনরুজ্জ্বিবীত করে পরিবার, সমাজ ও রাষ্ট্রের সর্বাঙ্গে রেখে কঠোর সংগ্রামে লিপ্ত হতে হবে। বাংলাদেশকে জন্ম দেয়া যেমন কঠিন ছিল; বর্তমানে মানবতাকে পুন:প্রতিষ্ঠ করা আরো কঠিন ভেবে কাজে নেমে পড়তে হবে। আর এই ক্ষেত্রে সকলের ইতিবাচক সহযোগীতা অব্যাহত রাখতে হবে। সকল নেতিবাচকতাকে পরিহার করে কর্মসম্পাদন করতে হবে। লোভ-লালসার উদ্ধে উঠে কাজের গতিশীলতা আনয়ন করতে হবে। কোনভাবেই পিছপা হওয়া যাবে না। ভাল কাজের প্রারম্ভে যে সকল প্রতিবদ্ধকতা রয়েছে সেগুলোকে ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে দূর করতে হবে। সকল প্রকার নেতিবাচকতাকে ইতিবাচকভাবে গ্রহণ করে সফলতার শেষ পর্যায়ে পৌঁছতে হবে।
বিশ্ব মানবতাকে জাগ্রত রেখে বাংলাদেশে প্রতিটি ঘরে ঘরে মানবতা ও মানবিকতাকে জাগিয়ে তুলে সামনে অগ্রসর হওয়ার সকল প্রকার সফল পদক্ষেপে এগিয়ে যেতে হবে; তবে রাষ্ট ও সমাজ এবং পরিবার থেকে এই কাজটুকু করে যেতে হবে। অন্যের ঘারে দোষ না চাপিয়ে বড়ং নিজের ঘাড়ে দোষ নিয়ে এমনকি নিজ কাঁধে দায়িত্ব নিয়ে কাজে নেমে পড়ার সময় এখনই। তাই রাষ্ট্রের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করার সময় এখনই এমনকি সকল ইতিবাচকতাকে সর্বাঙ্গে রেখে নেতিবাচকতাকে নির্মূল করতে হবে। সমাজের সকল স্তরে এর বিস্তার লাভ করানোর কাজে চলমান প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। জয় আমাদের হবেই এবং মানবতা ও মানবিকতা আমাদের হৃদয়ের গভীরে স্থান করে নিবে এবং কৃতকর্মে প্রকাশিত হতে এই বিশ্বাস ও ভরসা রেখে আগামীর নতুন এক সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে এগিয়ে যাওয়ার প্রত্যয়ে চলমান যাত্রা অব্যাহত থাকবে ইনশাআল্লাহ।