ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবার পৌর শহরে অবস্থিত থানা থেকে মাত্র ২শ গজ অদুরে মা টাওয়ারে গত মঙ্গলবার বিকেলে আবারো যৌতুকের বলি হলেন সূবর্ণা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধু। এ ঘটনায় সুবর্ণার স্বামী ও শ্বশুরকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। নিহত সূর্বণা উপজেলার বায়েক গ্রামের আবুল বাশার মিয়ার মেয়ে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠিয়েছে। জানা যায়; দেড় বছর পূর্বে নিহত সুবর্ণাকে প্রেম করে বিয়ে করেছিলেন কসবা তহসিল অফিসের কানুনগো মো.ফুল মিয়ার পুত্র মো.সজিব মিয়া (৩০)। বিয়ের পরে সুবর্ণার বাবার ভাড়া করা মা টাওয়ারের ৫ম তলায় একটি ফ্ল্যাটে বসবাস করতো সজিব ও সূবর্ণা। বিয়ের পর থেকেই ৫ লক্ষ যৌতুকের জন্য সজিবের পরিবারের পক্ষ থেকে চাপ দেয়া হতো সুবর্ণাকে। টাকা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় ফুল মিয়া পুত্র ও পুত্রবধুকে মেনে নেয়নি। গত মঙ্গলবার বিকেলে সজিব যৌতুকের জন্য সূবর্ণাকে শারীরিক নির্যাতন করলে সুবর্ণা পাশের কক্ষে সিলিং ফ্যানে ওড়না পেচিয়ে ঝুলে আত্মহত্যা করে। পরে পরিবারের লোকজন দরজা ভেংগে সুবর্ণার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ সুবর্ণার স্বামী সজিব ও খবর পেয়ে দেখতে আসা শ্বশুর ফুল মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। উল্লেখ্য গত ৩ অক্টোবর উপজেলা বিশারাবাড়ী গ্রামে ইয়াছমিন আক্তার নামে এক গৃহবধু স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির লোকজনের যৌতুকের দাবী ও শারীরিক নির্যাতনের ফলে মারা যায়। কসবা থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ লোকমান হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান; সুবর্ণার মায়ের অভিযোগের প্রেক্ষিতে যৌতুক লোভী স্বামী ও শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। তিনি বলেন; তাদের বিরুদ্ধে নারী শিশু নির্যাতন ও আত্মহত্যার প্ররোচনার দায়ে মামলা গ্রহন করা হয়েছে।