কি ঘটছে আর কি ঘটবে

চারিদিকে যা ঘটছে, দেখছি ও পড়ছি তা খুবই দু:খজনক। আগামীতে আরও কি কি ঘটবে বা দেখব তারও কোন ইয়াত্তা বা আন্দাজ করার সুযোগ বা সময় এখন আমাদের নেই। পৃথিবীর গতির চেয়েও জীবনের গতি এমনকি বেঁচে থাকার অথবা টিকে থাকার গতি অনেক বেশী। এই গতিকে মোকাবেলা করতেই মানুষ যখন খিমশিম খাচ্চে ঠিক তখন যুক্ত হচ্চে বিভিন্ন রকম মহামারি। আর ঐ মহামারির ছোবালে ঝড়ে যাচ্ছে অনেক সম্ভাবনাময় প্রাণ। যার মূল্য মানুষের কাছে নয় খোদার কাছে অনেক। কারণ ঐ প্রাণের মধ্যেই খোদার বসবাস। আর ঐ প্রাণকেই খোদা নিজ ছিফতে সৃষ্টি করেছিলেন। মহব্বত ও ভালবাসার আলিঙ্গনে জড়িয়েছিলেন। এই মহামারির মধ্যে খুন, ধর্ষন, স্বাভাবিক ও অস্বাভাবিক মৃত্যুও জড়িত। এই মহামারিতে যুক্ত হয়েছে অনৈতিকতা (ঘুষ, দুর্নিতী), লোভ-লালসা, শব্দ বোমা (যা প্রায়শই বলে থাকেন আমাদের মুরুব্বীরা)।
এই সব থেকে কবে আমরা মুক্তি পাব, পাবার আশা কি করা যায়, অথবা নেতিবাচক সকল অবিচারের শিকল ভেদ করে বের হওয়ার কি নতুন শান্তিময় ব্যবস্থার উদয় ঘটবে। অথবা বিদ্যমান ব্যবস্থার উন্নয়নে খোদার বিধানের আলোকে পৃথিবীর নৈরাজ্য দূর করার প্রচেষ্টাকে জোরদার করা হবে এমনকি শান্তি পুনস্থাপনের চর্চায় গতিময়তা আনয়নের কাজে গতিশীলতা অব্যাহত রাখতে সকলের ভূমিকা একসঙ্গে কাজে লাগানো হবে। ভেদাভেদ, উচু-নীচু, ধনী-দরীদ্র, শিক্ষিত-অশিক্ষীত, জ্ঞানী- পন্ডিত আর অবুঝ এইসকল বেড়াজাল ছিন্ন করে সকলের পরামর্শ শুনার ও প্রয়োজনে গ্রহণ করার মানুষিকতায় ইতিবাচক চর্চা অব্যাহত রাখতে হবে। পৃথিবী এখন দুই ভাগে বিভক্ত- (১) খোদার অভিপ্রায় এবং (২) শয়তানের অভিপ্রায়। এখন আমাদের দরকার উপযুক্ত জ্ঞানের ও চিরস্থায়ী শান্তির প্রয়োজনে একটিকে গ্রহণ করা। তাই কোনটিকে গ্রহন করবো সেই বিষয়টি বোজার জন্যই দরকার খোদায়ী সাহায্য ও জ্ঞানের।
আন্দোলন কোন ফয়সালা নয় বরং আন্দোলন হলো জলন্ত আগুনে ঘি ঢেলে আরো গতি বাড়িয়ে দেয়া অথবা নতুন কোন আগুনের সুত্রপাত ঘটানোর বা গোপন উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করার একটি প্রাথমিক এবং একপর্যায়ে চূড়ান্ত প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ায় পৃথিবীর সকল ইতিহাসের জন্ম এবং এই প্রক্রিয়াকে কখনো ইতিবাচকভাবে নেয়া যায়নি। তবে অধিকার আদায়ের শ্লোগানে এটিকে ব্যবহার করা হয়েছে। কিন্তু এর মাধ্যমে সত্যিকারের অধিকার কি আদায় হয়েছে। হয়নি এবং হবেও না। হয়েছে গুটিকতেক জনার। আর এই জন্যই শান্তি ও স্থিতিশীলতা এখনও সুপ্রতিষ্ঠিত হয়নি। খুন, ধর্ষন কি বন্ধ হযেছে আর কবে বন্ধ হবে। আইন আছে এবং নতুন করে হচ্ছে এমনকি বিচারও হয়েছে এতে কি সমাজ নিশ্চিত হতে পেরেছে? পারেনি কারন এর মূলে কুঠারঘাত করার প্রাথমিক কাজটি এখনও শুরুই হয়নি। অনেকে ফাঁসি এবং ক্রসফায়ার চান, কিন্তু ভেবে দেখেছেন কি এর পরিণতি কি ভয়াভহ ভবিষ্যতের জন্য। সৃষ্টিকর্তা কি চান এবং তার অভিপ্রায় কি এমনকি এই সৃষ্টিকে নিয়ন্ত্রণের জন্য শান্তি ও শৃঙ্খলা বিরাজমান রাখার জন্য কি কি পদক্ষেপ আমার-আপনার উপর বর্তিয়েছেন তা কি দেখেছেন, দেখুন এবং ভাবুন তারপর মোনাজাতের মাধ্যমে সাহায্য চেয়ে কাজে নেমে পড়ুন। শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরে আসবে এবং শেষ গর্ন্তব্যের দিকে নিশ্চিত হয়ে গমন করা বা প্রস্থান করা যাবে।
শব্দবোমা একটি সামাজিক ব্যাধি, এটিও সেই আন্দোলন এবং খুন, ধর্ষণেরই মত। এতে যুক্ত হয়েছে কলম বোমাও। ইদানিং মিডিয়ার কল্যাণে এসব বেশেী বেশী দেখা যায় এবং এর প্রতিফলও সমাজ ভোগ করছে। অতি জ্ঞান দেয়া, আগাম কথা বলা এমনকি অন্যের উদ্যোশে বলা অথবা কাটা গ্যাঁয়ে নুনের ছিটা দেয়া বন্ধ করা এখন সময়ের দাবি। যার যার অবস্থান থেকে ইতিবাচক মানুষিকতার মনোভাব পোষন করে অন্যের কল্যানের জন্য নেমে পড়ার সময় এখন। তাই এই সময়কে কাজে লাগানোর তরে চিন্তা ও কাজের সমন্বয় ঘটিয়ে এগিয়ে যাওয়ার আহবান জানাচ্ছে এই উত্তপ্ত সময়। যেভাবেই হোক মৃত্যু একটি জাগতিক জীবনের সমাপ্তি এবং এই সমাপ্তির জন্য দায়ি কে খোজ করুন। জন্মিলে মরিতে হবে এবং এই জন্ম ও মৃত্যুর রহস্য উন্মোচনে কাজ করুন। খোদার সান্নিধ্য লাভে এগিয়ে আসুন। খুন হচ্চে আমাদের ঈমান ও আমল, ধর্ষীত হচ্ছে আমাদের বিবেক ও ঈমান এবং আমলের ফল। লোভ-লালসা চরিতার্থের ফলই হচ্চে আমাদের নেতিবাচক ঈমান ও আমলের ফল। তাই এই সকল থেকে নিজে বিরত থেকে অন্যকে বিরত থাকার ব্যবস্থা করুন। মনে রাখবেন এক হাতে তালি বাজে না এমনকি কোন কারন ছাড়া একজন আরেকজনের উপর ক্রোধ প্রকাশ করার সুযোগ থাকে না। সুযোগ দিলেই সুযোগ কাজে লাগাই এবং শেষ ফল হয় সর্বনাশের। যা আজ আমরা দেখছি। তাই সুযোগ না দেয়ার কাজে নেমে পড়–ন।
দেশ ও জাতির কাছে লজ্জার পরিবর্তে ন¤্র হয়ে ভঙ্গুর হৃদয়ে তৌবা করার অনুরোধ জানাচ্চি এবং সেই তৌবার ফল নিয়ে মানব কল্যাণের তবে জীবনের সমাপ্তি টানার বিনীত অনুরোধ রাখছি। রাষ্ট ও সরকারকে সবিনয় অনুরোধ রাখছি খোদার সান্নিধ্যে থেকে খোদায়ী অভিপ্রায় বাস্তবায়নে মনোযোগী হয়ে প্রকৃত সেবকের দায়িত্ব পালন করে শান্তি ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করণে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করুন। অদ্ভুদ সকল নেতিবাচকতা এমনকি লজ্জার বিষয়গুলি চিরতরে বিনাশ হওয়ার উপকরণগুলো চর্চার নিয়ে আসুন এবং পরিবার ও সমাজ এবং দেশ ও সরকার; সকলের সঙ্গে একযোগে যোগসূত্র স্থাপনে ভুমিকা রাখুন এবং কাজ করুন। জয় আমাদের হবেই এটা নিশ্চিত জেনেই কাজ করুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published.