প্রশান্তি ডেক্স ॥ ‘চলো যাই যুদ্ধে, ধর্ষকের বিরুদ্ধে’ স্লোগানে এক ঘণ্টার জন্য কেঁপে উঠেছিল বগুড়া শহরের প্রাণকেন্দ্র সাতমাথা। ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিত ও মেয়েদের নিজেকে সুরক্ষিত রাখার কৌশল শিক্ষা বাধ্যতামূলক করাসহ ১৩ দফা দাবিতে বিক্ষোভে ফেটে পড়ে বগুড়ার সাধারণ শিক্ষার্থী ও তরুণ সমাজ।
দেশে অব্যাহত ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, ধর্ষকদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে গত বুধবার (৭ অক্টোবর) বেলা ১১টায় বগুড়ার সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদী সমাবেশ করে। ঘন্টাব্যাপী চলে এই প্রতিবাদী সমাবেশ। এতে সংহতি প্রকাশ করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, ছাত্রলীগ, ছাত্র ইউনিয়ন, সাংবাদিক সমাজ ও অভিভাবকবৃন্দ।
সমাবেশে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের হাতে রাখা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিলো- ‘আর কত দিন দর্শক হয়ে ধর্ষণ দেখবে বাংলাদেশ, ভাই তোরা আমার বউয়ের সাথে এমন করিস না, আই অ্যাম নট ইওর টয়, ‘মোরা একটি ফুলকে বাঁচাবো বলে যুদ্ধ করি, তবে কেন আজ শত শত ফুল ধর্ষিত।’

প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে শিক্ষার্থীদের পক্ষ দাবিগুলোর মধ্যে ছিলো- কোনো আইনজীবী ধর্ষকের পক্ষে দাঁড়াতে পারবে না, তিন মাসের মধ্যে ধর্ষণের বিচারিক কার্যক্রম শেষ করতে হবে, ধর্ষক যেন তার রাজনৈতিক ক্ষমতার মাধ্যমে পার না পেয়ে যায়, ধর্ষণের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড রেখে আইন পাশ করা, যেসব ধর্ষণের বিচার আজ পর্যন্ত হয়নি, তাদের বিচার দ্রুত হোক।
রতন শীলের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন, বগুড়া প্রেসক্লাবের সহ-সভাপতি পূর্বপশ্চিম প্রতিনিধি আব্দুস সালাম বাবু, বগুড়া সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জে এম রউফ, সমকাল পত্রিকার বগুড়ার ব্যুরো প্রধান মোহন আখন্দ, করতোয়ার রিপোর্টার নাসিমা সুলতানা ছুটু, ডিবিসির জেলা প্রতিনিধি রাকিব জুয়েল, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস, ছাত্র ইউনিয়নের সাদ্দাম হোসেন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের ধনঞ্জয় বর্মণ, শিক্ষার্থী আরমানী রহমান প্রমুখ।
সমাবেশ শেষে সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে অরূপ রতন শীল দাবিগুলো তুলে ধরেন।