ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি হওয়া উচিত…ইন্দিরা

প্রশান্তি ডেক্স ॥  ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি ফাঁসি হওয়া উচিত বলে মনে করেন মহিলা শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। গত  বুধবার ( অক্টোবর) নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি কথা জানান।

ধর্ষণকারীদের সর্বোচ্চ শাস্তি কী হওয়া উচিত? এমন প্রশ্নে জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমি মনে করি ধর্ষকদের শাস্তি ফাঁসি হওয়া উচিত। একইসঙ্গে শাহবাগে আন্দোলনকারীদের ধন্যবাদ জানিয়ে তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন ‍তিনি।

সম্প্রতি ধর্ষণের দুঃখ এবং তীব্র নিন্দাসহ প্রতিবাদ জানিয়ে ইন্দিরা বলেন, আমাদের অফিসাররা সরাসরি ভিকটিমের বাড়ি যায়। তাদের বিভিন্ন ধরনের সহযোগিতা করে। লিগ্যাল সাপোর্ট থেকে শুরু করে সব ধরণের সহযোগিতা করা হয়।

তিনি বলেন, যারা এ ঘটনাগুলো ঘটাচ্ছে তারা নীতি নৈতিকতা বিবর্জিত, বিকৃত মস্তিষ্কের। এ বিষয়ে সবার একটা কিছু করার দায়িত্ব আছে। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব হলো পরিবারের। তাদের বাবা মাকে লক্ষ্য রাখতে হবে তার সন্তান কার সঙ্গে মিশে। কারণ নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ গড়ে উঠে পরিবার থেকে।

ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, দেশের প্রায় ৫০ শতাংশ নারী। তাই আমি নারীদের উদ্দেশ্যে বলবো। ধর্ষক ধর্ষকই, তার অন্য কোনো পরিচয় নেই। সামাজিক রাজনৈতিক কোনোভাবেই তার পরিচয় নেই। ধর্ষক কারও কারও মায়ের সন্তান। আমি সেই মাকে আহ্বান জানাবো ধর্ষক সন্তানকে বর্জন করুন। ধর্ষণকারী কারও না কারও বাবা, আমি সেই সন্তানদের বলবো বাবাকে বর্জন করে। ধর্ষককারী কারও ভাই, তাদের বলবো ধর্ষণকারীকে বর্জন করতে। সামাজের প্রতি আহ্বান জানাই তারা যেন এ ধর্ষণকারীকে সমাজকে প্রত্যাখান করে। সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যেন তাদের বহিষ্কার করে। তাহলেই এ ধর্ষণের মতো নির্যাতন আমরা বন্ধ করতে পারবো।

ধর্ষকের সর্বোচ্চ শাস্তি যেটা আছে সেটা আপনি যথেষ্ট মনে করেন কি না এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা সম্পূর্ণ রূপে আইনের ব্যাপার। আমি আইনজ্ঞ নই। তাই আমি এটা বলতে পারবো না। আইনের বাইরে আমি কিছু বলতে পারি না। তারাই এটা ভালো বলতে পারবে। তবে আমি মনে করি, ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণিত হলে, ধর্ষণকারীর অবশ্যই ফাঁসি হওয়া উচিত। ধর্ষকদের বিরুদ্ধে যারা রাস্তায় নামছে আমি তাদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দ জানাই। আমি তাদের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published.