‘ধর্ষণের দায় এড়াতে পারে না সরকার’

প্রশান্তি ডেক্স ॥  একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা। দেশজুড়ে চলছে তুমুল আলোচনা। এবার সে বিষয় নিয়েই কথা বললেন সড়ক পরিবহণ ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

ধর্ষণসহ অপরাধ সংঘটনের দায় এড়াতে পারে না সরকার। তাই বলে প্রশ্রয় দিচ্ছে তাও না। প্রতিটি ঘটনার বিচার নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

গত  সোমবার (৫ অক্টোবর) সচিবালয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, সরকার তৎপর তবু অপরাধ ঘটেই চলেছে। দলমত নির্বিশেষে শক্তিশালী সামাজিক প্রতিরোধ গড়তে হবে। এ নিয়ে রাজনীতি করার কিছু নেই। অপরাধী ও মদদদাতা, সবাইকে আইনের আওতার আনতে হবে, তারা যারাই হোক। সেটা আওয়ামী লীগের হলেও আইনের আওতায় আনা হবে। অপরাধ দমন ও প্রতিরোধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হবার আহ্বান জানান তিনি।

ফাইল ছবি

এ সময় নিজ মন্ত্রণালয়ের কার্যক্রমের অগ্রগতি নিয়ে ওবায়দুল কাদের জানান, মেগা প্রকল্পগুলোর অগ্রগতি নিয়ে একাধিক বৈঠক করা হয়েছে, প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেয়া হয়েছে, কোন ফাইল আটকে নেই। সড়কের গুণগত মান নিশ্চিত করা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। এ নিয়ে দায় এড়ানোর কোন সুযোগ নেই আর। কিছু প্রকল্পের কাজ শেষ না করে মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে। এতে খরচ বাড়ানো হচ্ছে সরকারের। প্রকল্প কাজ শেষ করার পর প্রকল্প স্থান নোংরা রাখা যাবে না। কোন কাজে কেউ বাধা দিলে মন্ত্রীকে (আমাকে) জানাতে হবে।

তিনি আরো জানান, রাজধানীতেও মন্ত্রণালয়ের কোন ফাঁকা জায়গা থাকলেই সেখানে নানা প্রকল্পের ভবন করা হচ্ছে। এটা আর করা যাবে না। সড়ক ও জনপথের নতুন ভবনের সামনে যথেষ্ট জায়গা আছে, সেখানে যেন করা হয়। বিআরটিসি-বিআরটিএ’র কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক ভবনের কাজ এগিয়ে নিতে হবে। তাছাড়া এ দুটি সংস্থার প্রধানদের বলা হচ্ছে, যেন আর কোন নিয়ম না হয়। সড়ক নিরাপত্তার কাজগুলো সন্তোষজনক নয়। শুধু যেন ‘নিরাপদ সড়ক দিবস’ (২২শে অক্টোবর) পালনে কার্যক্রম সীমাবদ্ধ না থাকে। সম্ভব হলে আসছে গত  ২২ অক্টোবরের আগে যতটুক সম্ভব, সড়কগুলো নিরাপদ করতে হবে। ঢাকায় যেসব প্রকল্প নির্ধারণ করা আছে, মূলত মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে এবং বাস র‌্যাপিড ট্রানজিট সম্পর্কিত। এগুলো ছাড়া আপাতত নতুন কোন প্রকল্প দরকার নেই। এসময় পরিবহণ ধর্মঘটকারীদের ধর্মঘট প্রত্যাহার করে আলোচনার আহ্বানও জানান ওবায়দুল কাদের।

Leave a Reply

Your email address will not be published.