৭ মার্চকে ‘ঐতিহাসিক দিবস’ ঘোষণায় মন্ত্রিসভার অনুমোদন

বা আ ॥  ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে ‘মেমরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে’ অন্তর্ভুক্ত করেছে ইউনেস্কো

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণকে স্মরণীয় করে রাখতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে দিবসটি পালনের লক্ষ্যে মন্ত্রিসভা এই দিনটিকে “জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস” না করে “ঐতিহাসিক দিবস” হিসেবে ঘোষণা করেছে।

বুধবার (৭ অক্টোবর) সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলনকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “১৯৭১ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের স্মরণে এই দিবসটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে পালনের জন্য একে ‘ঐতিহাসিক দিবস’ হিসেবে ঘোষণার জন্য সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের দেওয়া প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তবে এদিন কোনো ছুটি থাকবে না।”

এর আগে, গত ১৩ জুলাই মন্ত্রিপরিষদ জাতীয়ভাবে পালনের জন্য ৭ মার্চকে “জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস” হিসেবে ঘোষণা করে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, ৭ মার্চ ভাষণের নির্দেশনার আলোকে এদেশের সর্বস্তরের জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। এটির আন্তর্জাতিক গুরুত্বও আছে। এই ভাষণকে “মেমরি অব দ্য ওয়ার্ল্ড রেজিস্টারে” অন্তর্ভুক্ত করেছে ইউনেস্কো। সেই বিবেচনায় জাতীয় জাগরণ ও স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম প্রেরণার উৎস হিসেবে দিবসটি উদযাপন করার বিষয়টি খুবই প্রাসঙ্গিক।

খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বঙ্গবন্ধুর শেখ মুজিবুর রহমানের দৃঢ় বলিষ্ঠ নেতৃত্বের নির্দেশনা ও জাতীয় জাগরণের বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে ১৯৭১ সালের ৭ মার্চে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দেওয়া ভাষণে। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ এদেশে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার মূল প্রেরণা।

Leave a Reply

Your email address will not be published.