অসম্ভবকে সম্ভবের মাইলফলকে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। এটা শুরু হয়েছিল সেই ’৭১সালে বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রের জন্মের মাধ্যমে। আর এটা সম্ভব হয়েছিল জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ঐকান্তির প্রচেষ্টা ও দূরদর্শী চিন্তা এবং পরিকল্পনা এমনকি দৃঢ় মনোবল ও বিশ্বাসের কারণে। আর এখন যেটা দৃশ্যমান সেটাও হয়েছে তাঁরই কন্য বিশ্ব মানবতার মা জননেত্রী শেখ হাসিনার কল্যাণে। তাঁর সাহস, দৃঢ় মনোবল, আস্থা ও বিশ্বাস এবং নিরলস প্রচেষ্টার প্রতিচ্ছবি এই পদ্মা সেতুর দৃশ্যমানতা। শেখ হাসিনা কথা কয় আর অবাক বিশ্ব তাকিয়ে রয় এইতো হলো যুগের রিতি এবং বাস্তবতার ভিত্তি। কথা নয় কাজ আর এই কাজ হতে হবে জনকল্যানের তরে এমনকি চিন্তা ও কাজের সমন্বয়ের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা বাস্তবায়নের মাধ্যমে। যা বিশ্বের জ্ঞানী গুনিরা প্রত্যক্ষ করেছে সেই ’৬৯ থেকে আজ ২০২০ পর্যন্ত আওয়ামী দেশ শাসনের এমনকি পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে।
ঝড় -জলোচ্ছাস, আসমানী বালা- জমীনি বালা মুসিবত দূর করে করোনার মতো নিরব ঘাতক ব্যধিকে মোকাবেলা করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে এখানে স্পষ্ট যে, জমীনি বালায় দেশীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র যা হাস্যকর ও লজ্জাস্কর ছিল। এই পদ্মা সেতু হতে দিবে না এমনকি এর মাধ্যমে সরকারকে বা দেশকে জিম্মী করে বিশ্ব মোড়লদের স্বার্থ হাতিয়ে নেয়ার সকল অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তারেক খালেদা এবং এর দোসর জনাব ইউনূছ সহেবরা যথেষ্ট মেধা খাটিয়ে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে দেশের ক্ষতি করতে মরিয়া হইয়া উঠে পড়ে লেগেছিলেন কিন্তু আল্লাহর ইচ্ছায় সেই ষড়যন্ত্র মোকাবেলায় জাতি আজ উর্বর মস্তিষ্কের ফলনে তুষ্ট। দেশীয় ও আন্তর্জাতিক যে ষড়যন্ত্র হয়েছিলো তা জাতি প্রত্যক্ষ করেছে কিন্তু ভিতরের কাহিনী সরকার প্রকাশ না করাই স্ববিস্তারে জানতে পারেনি। তবে সর্বশ্রদ্ধেয় আইনমন্ত্রী আজ আবেগাপ্লুত হয়ে কিছুটা প্রকাশ করেছেন; তবে তিনি যদি পুরোটা প্রকাশ করেন তাহলে জাতি আরো ভালো করে দেশিয় এবং আন্তর্জাতিক শত্রুদের চিহ্নিত করে আগামীর সকল ভাবনা এমনকি দেশ শাসনের দায়িত্বের ভার অর্পনে নির্ভার হতে পারবে। জনাব আবুল হোসেন সাহেবকে মূল্যায়িত করা হউক এবং তার শুকরিয়া ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের জন্য জাতি কৃতজ্ঞ। জনাব ওবায়দুল কদের ভাইয়ের নিরলস প্রচেষ্টা এবং ধৈয্য ও সময়োপযোগী জবাবের পাকাপোক্ততা হলো এই পদ্মা সেতুর বাস্তব দৃশ্যমানতা।
জাতি এখন জানতে আগ্রহী ঐ ষড়যন্ত্রকারীদের স্ববিস্তার ষড়যন্ত্র। যে সেতু সেই ২০১৩সালেই দৃশ্যমান হতো তা কয়েক বছর দেরী করালো যারা তাদের বিচার দাবি করছি আমরা বাঙ্গালীরা। তবে এই বিচাও হবে এটা নিশ্চিত হওয়া যায় ইতিহাসের কল্যাণে। আমাদের অনুরোধ মাননীয় আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী জনাব আনিছুল হক সাহেবের কাছে ও সাবেক যোগাযোগ মন্ত্রী জনাব আবুল হোসেন সাহেবের কাছে। আপনারা এই অসাধ্য কাজটুকু সাধনের কাহিনীর অন্তরালের সকল প্রতিবন্ধকতাগুলো প্রকাশ করুন। জাতি আরো দাবি রাখে ঐ সময়ের ক্ষতি ও অপমানের জন্য মামলা করে বিশ্ব দরবারে স্বীকৃতির দরজা প্রসারিত করতে। জনাব মোশারফ এবং আবুল হোসেন সাহেবের প্রতি যে অন্যায় হয়েছিল তার পুনরুদ্ধারে কাজ করতে এমনকি দেশের প্রতি যে অন্যায় অপবাদ দেয়া হয়েছিল তার বিরুদ্ধে সুবিচারের দ্বার উন্মোচন করতে। এখন সময়ের দাবীকে প্রধান্য দেয়া আমার সরকারের অগ্রাধীকারে স্থান দেয়ার মোক্ষম সময়।
ডিসেম্বর বিজয়ের মাস, প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের মাস, অসম্ভবকে সম্ভবে পরিণত করার মাস, আশরাফুল মাখলুকাতকে পাপমুক্ত করার প্রতিশ্রুত দৃশ্যমানতার মাস। ধনী-গরীব; উঁচু নীচু ভেদাভেদ ভুলে সমতায় এসে আনন্দের জয়গান গাওয়ার মাস। ক্ষমতা ও ধন-ধৌলতের ইতি টেনে সমতা ও অধিকার প্রতিষ্ঠার মাস। অর্থনৈতিক মাপকাঠি থেকে বের হয়ে খোদার ইচ্ছার বহি:প্রকাশের মাস। খোদার ইচ্ছায় দেশ স্বাধীন হয়েছিল, উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উঠেছিল, পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমন হয়েছে আর এর পেছনে খোদা বেছে নিয়েছেন বঙ্গবন্ধু পরিবারকে। যমুনা সেতুর স্বপ্ন দেখেছিলেন বঙ্গবন্ধু আর পদ্মা সেতুর স্বপ্ন দেখেছেন শেখ হাসিনা এই দুটোই আজ বাস্তব এবং অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন দেখেছেন বঙ্গবন্ধু আর এর বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছেন শেখ হাসিনা। শেষ গন্তর্ব্যে পৌঁছতে বাকিটুকুও করে যাবেন তিনি এটাই আপামর জনতার ইচ্ছা এবং খোদা তায়ালার অভিপ্রায়।
বিশ্বে অনেক দৃষ্টান্ত এখনও জীবন্ত; অনেক নিরক্ষর মানুষকে করেছেন মহান এবং যুগে যুগে এটা স্পষ্ট প্রমান করে যে, আল্লাহ চাইলে কারো সাধ্য নেই এর বিরোধীতা করে ক্ষতি করা। নবী-রাসুল থেকে শুরু করে আজও এই দৃষ্টান্তের ক্রমানুপাতিক দৃশ্যমানতা বিরাজমান। যে পাথরটা ফেলে দেয়া হয়েছিল সেটা থেকেই তিনি তাঁর কাজ শুরু করেছিলেন। যার দ্বারা কিছু হবে না বলে ধরে নেয়া হয়েছিল সেই তাকেই নিয়েই তিনি মহা পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছিলেন এবং এখনও সেই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছেন। জিয়ার চক্রান্ত এবং তৎপরবর্তীরা কি ভেবেছিল এই শেখ হাসিনাই এমনকি বঙ্গবন্ধু পরিবার দ্বারাই জাতি ফিরে পাবে হারারো সকল কিছুর গতি প্রকৃতি। ভাবেনি কিন্তু আল্লাহ ঠিকই তাঁর কাজটুকু করেছেন এবং করে যাচ্ছেন। দুনিয়া থেকে সবকিছুর বাছ বিচার তিনি করে দেখান তার ক্ষমতার ভারসাম্য তিনি রক্ষা করতে সক্ষম। তিনি ন্যায়ের পক্ষে, অন্যায়ের পক্ষে নয় বরং ন্যায়ের পক্ষে তার অবস্থান তিনি পাকাপোক্ত করেন আর অন্যায়কে তিনি প্রতিহত করে ঘৃণার স্তরে নামিয়ে দৃশ্যমান রাখেন। বাংলাদেশ পারে এবং পেরেছে যা পৃথিবীর ইতিহাসে বার বার লিপিবদ্ধ হচ্ছে ও হবে তবে চুড়ান্ত সাফল্যে পৌঁছতে আরো প্রতিবন্ধকতা মোকাবেলা করে এগিয়ে যাওয়ার মানসিক শক্তি সঞ্চয়ের মাস এই ডিসেম্বর। অর্থনৈতিক স্বাবলম্বি হওয়ার দৌঁড়ে এগিয়ে যাওয়ার ঐক্য সম্বৃদ্ধকরণের মাস হউক এই ডিসেম্বর। আরেকটি অর্জনের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছার অঙ্গিকারে অঙ্গিকারাবদ্ধ হওয়ার মাস হউক এই ডিসেম্বর। উন্নত দেশের কাতারে স্থায়ী আসন পাকাপোক্তকরনের দৌঁড়ে এগিয়ে যাওয়ার মাস হউক এই বিজয়ানন্দের মাস।
স্থায়ী আনন্দ উপভোগের জন্য ধৈয্যধরে অপেক্ষা করতে হবে এবং আল্লাহর ইচ্ছা দেখতে এমনকি ন্যায় বিচার দেখতে আল্লাহর উপর ঈমান ও বিশ্বাস রেখে নির্ভয়ে এগিয়ে যেতে হবে। সকল অন্ধকারের শেষে আলো জ্বলবেই। তবে নূরই একমাত্র অন্ধকারকে দূর করতে পারে। তাই আপনার জীবনের নূরকে জাগিয়ে তুলুন যেন নূরের আলোয় সকল অন্ধকার দূর হয়। অসম্ববকে সম্ববে পরিণত করার আরেক দিকদর্শন হলো নূর। আল্লাহর নূর আমাদের সকলের জীবনে প্রজ্জ্বলিত হউক আর সকল অন্ধকারের অবসান হউক।