কসবায় ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেলো মাদরাসা ছাত্রী

ভজন শংকর আচার্য্য, কসবা (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলমের হস্তক্ষেপে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেলো সাইমা আক্তার (১৬) নামে এক মাদরাসা ছাত্রী। সাইমা আক্তার উপজেলার খাড়েরা ইউনিয়নের সোনারগাঁও গ্রামের ফারুক মিয়ার মেয়ে এবং সোনারগাঁও জিলানীয়া মাদরাসার ছাত্রী। গতকাল সোমবার (৭ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুদ উল আলমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত বিয়ে বাড়িতে উপ¯ি’ত হয়ে এ্ই বাল্য বিয়ে বন্ধ করেন। ভ্রাম্যমান আদালত সুত্রে জানা যায়, উপজেলার সোনারগাঁও গ্রামের ফারুক মিয়ার মাদরাসা পড়–য়া কন্যা সাইমা আক্তারের বিয়ে ঠিক হয় একই উপজেলার গানপুর গ্রামের আক্তার হোসেনের ছেলে সৌদীআরব প্রবাসী

সোলাইমান ইসলাম বাবুর সাথে। উভয় পরিবারে সম্মতিতে বিয়ের দিনক্ষন ঠিক হয়। গতকাল সোমবার কনের বাড়িতে বরযাত্রী ও বর নিয়ে উপ¯ি’ত হন বরপক্ষ। পরে ¯’ানীয় সচেতন লোকজন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ উল আলমকে বাল্য বিয়ের বিষয়টি অবহিত করলে তিনি ভ্রাম্যমান আদালত নিয়ে বিয়ে বাড়িতে উপ¯ি’ত হন। এ সময় কনের পিতা ফারুক মিয়া মেয়েকে ১৮ বছরের আগে বিয়ে দিবেননা মর্মে মুচলেকা দেন ভ্রাম্যমান আদালতের নিকট। পরে বরপক্ষ বিয়ে না করিয়ে চলে যায়। এ সময় খাড়েরা ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা কবির আহাম্মদ খান ও উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রওনক ফারজানা সহ সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডের মেম্বারগন উপ¯ি’ত ছিলেন। উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মাসুদ উল আলম জানান, গোপন সংবাদে খবর পেয়ে বিয়ে বাড়িতে উপ¯ি’ত হয়ে এই বাল্যবিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। কনের পিতা তার মেয়েকে ১৮ বছরের আগে বিয়ে না দেয়ার মুচলেকা দেন ভ্রাম্যমান আদালতের নিকট।

Leave a Reply

Your email address will not be published.