প্রশান্তি ডেক্স ॥ সারাদেশের পাঁচ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্যে ওয়েব ক্যামেরাসহ ৮৫ হাজার ল্যাপটপ কিনতে যাচ্ছে সরকার। গত বৃহস্পতিবার (১৭ মার্চ) সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় এ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৪৮৭ কোটি ২১ লাখ টাকা। গত বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) অর্থমন্ত্রী আ হ ম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অর্থনৈতিক ও সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার ভার্চুয়াল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী জানান, শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপনের জন্য যে ৮৫ হাজার ল্যাপটপ কেনা হবে তার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান টেলিফোন শিল্প সংস্থা (টেসিস)। আর সেই পাঁচ হাজার প্রতিষ্ঠানের জন্য পাঁচ হাজার ওয়েব ক্যামেরা, পাঁচ হাজার রাউটার এবং পাঁচ হাজার নেটওয়ার্ক সুইচসহ অন্যান্য আইটি সামগ্রী সংগ্রহ, সরবরাহ ও স্থাপনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এসব কেনাকাটায় ব্যয় হবে ৪৮৭ কোটি ২১ লাখ সাত হাজার ৭৯১ টাকা। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার জানান,গত বৃহস্পতিবারের অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ৯ম এবং সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১১তম সভা ছিল। সভায় অর্থনৈতিক সর্ম্পকিত কমিটির অনুমোদনের জন্য একটি এবং ক্রয়সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদনের জন্য পাঁচটি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। এরমধ্যে তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি ও গৃহায়ণ মন্ত্রণালয়ের দুটি প্রস্তাবের আলোচনা হয়েছে। বাকি প্রস্তাবগুলো পরবর্তীতে আলোচনা হবে। অর্থনৈতিক সম্পর্কিত কমিটিতে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অধীন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর কর্তৃক ‘শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাব স্থাপন (২য় পর্যায়)’ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্থাপিতব্য শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবের জন্য ৮৫ হাজার ল্যাপটপ, পাঁচ হাজার ওয়েব ক্যামেরা, পাঁচ হাজার রাউটার এবং পাঁচ হাজার নেটওয়ার্ক সুইচসহ অন্যান্য আইটি সামগ্রী সংগ্রহ, সরবরাহ ও স্থাপনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এতে ব্যয় হবে ৪৮৭ কোটি ২১ লাখ সাত হাজার ৭৯১ টাকা। এ প্রকল্পটি উদ্যোগ মন্ত্রণালয় তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়। বাস্তবায়নকারী সংস্থা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতর। টেলিফোন শিল্প সংস্থা এ ল্যাপটপ কেনাকাটার কাজ পেয়েছে। জানা গেছে, ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে সারাদেশে আইসিটি শিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের জন্য শিক্ষায় তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির প্রয়োজনীয় অবকাঠামো স্থাপনের জন্য আইসিটির নিত্যনতুন প্রযুক্তি প্রয়োগের মাধ্যমের মানবসম্পদ উন্নয়ন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রকল্পটি গত বছর জুলাই মাসে একনেকে পাস হয়।
এ ডিজিটাল ল্যাবের প্রতিটিতে একটি ল্যাপটপ, একটি ওয়েব ক্যামেরা, রাউটার, নেটওয়ার্ক সুইচ, একটি টেবিল (ইন্সট্রাক্টর) একটি চেয়ার (ইনস্টাক্টর), ১৬টি টেবিল ও ৩২টি চেয়ার থাকবে। সভায় গণপূর্ত অধিদপ্তরের ‘অফিসার্স ক্লাব, ঢাকা এর ক্যাম্পাসে বহুতল ভবন নির্মাণ’ প্রকল্পের দুটি প্যাকেজের পূর্ত কাজের জন্য পদ্মা অ্যাসোসিয়েট অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ার্স কাছ থেকে ১৬৪ কোটি ১৪ লাখ ১৯ হাজার ৮৪৮ টাকায় ক্রয়ের অনুমোদন দেওয়া হয়।এর আগে অর্থনৈতিক বিষয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রাডার সিস্টেমসহ অন্যান্য যন্ত্রপাতি সরকারি অর্থায়নের পরিবর্তে সংস্থার নিজস্ব অর্থায়নে ক্রয়ের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়।
পূর্বপশ্চিমবিডি/এসএস
শাল্লার ঘটনায় জড়িত কেউ রেহাই পাবে না; র্যাবের ডিজি
প্রকাশ: ১৮ মার্চ ২০২১, ১৭:০৫সুনামগঞ্জ প্রতিনিধিঅঅ
প্রশান্তি ডেক্স ॥ র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার নোয়াগাঁও গ্রামে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনায় জড়িত কেউ রেহাই পাবে না। যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিচার নিশ্চিত করা হবে। তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া হবে। আগামীতে যাতে এমন ঘটনা ঘটানোর সাহস কেউ না পায়, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) সকালে তার নিজ উপজেলা শাল্লার হবিবপুর নয়াগাঁও মধ্যহাটিতে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এটি এক পক্ষ সহ্য করতে পারছে না। তাই দেশে সাম্প্রদায়িক অশান্তি সৃষ্টি করে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করতে চাইছে। দেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যেভাবে দেশ থেকে জঙ্গিবাদ দমনে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখে বিশ্ব দরবারে দেশের জন্য সুনাম বয়ে এনেছে, সেভাবে অচিরেই সাম্প্রদায়িক সন্ত্রাসীদের কালো হাত ভেঙে দেওয়া হবে। তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ। এখানে সবার সমান অধিকার রয়েছে। কেউ যদি সংখালঘ্যুদের ওপর নির্যাতন করে, তা সহ্য করা হবে না। এর আগে সকাল ১১টায় নয়াগাঁও মধ্যহাটি এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত ঘর-বাড়ি পরিদর্শন করেন তিনি।
এর আগে গত সোমবার (১৫ মার্চ) দিরাইয়ে আসেন হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব আল্লামা মামুনুল হকসহ কেন্দ্রীয় নেতারা। সময় তারা বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য দেন। এরপর গত মঙ্গলবার শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের নয়াগাঁও গ্রামের ঝুমন দাস আপন নামে এক যুবক ফেসবুকে একটি পোস্ট দেন। সেখানে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যবিরোধী কথা বলায় মামুনুল হকের সমালোচনা করেন তিনি। এ ঘটনায় ধর্মীয় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগে রাতেই আপনকে গ্রেপ্তারের দাবিতে ওই এলাকার হেফাজত নেতার অনুসারীরা বিক্ষোভ মিছিল করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ রাতেই ঝুমন দাস আপনকে আটক করে। পুলিশ আপনকে গ্রেপ্তার করলেও গত বুধবার (১৭ মার্চ) সকালে আপনসহ ওই গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের বেশকিছু লোকের বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেন মামুনুল হকের অনুসারীরা। এতে কোনো হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও আতঙ্কে গ্রাম ছেড়ে বাসিন্দারা আশ্রয় নেন হাওরে। তবে গত বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত এ ঘটনায় কোনো মামলা বা আটক হয়নি।