প্রশান্তি ডেক্স ॥ ঈদের আগে সকল শ্রমিক-কর্মচারীর বেতন-বোনাস পরিশোধের দাবি জানিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। বাম জোট আহুত দেশব্যাপী বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার রাজধানীতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ থেকে এই দাবি জানানো হয়। বিক্ষোভ মিছিলের পূর্বে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বাম জোটের সমন্বয়ক বজলুর রশীদ ফিরোজ। সমাবেশে বক্তৃতা করেন বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, বাসদ (মার্কসবাদী) কেন্দ্রীয় নেতা মানস নন্দী, সিপিবি নেতা সাদেকুর রহমান শামীম, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের নজরুল ইসলাম, গণসংহতি আন্দোলনের বাচ্চু ভূইয়া, গণতান্ত্রিক বিপ্লবী পার্টির শহীদুল ইসলাম সবুজ, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক আন্দোলনের হামিদুল হক ও বাসদ নেতা খালেকুজ্জামান লিপন।
সমাবেশে নেতৃবৃন্দ বলেন, করোনার অভিঘাতে প্রায় ৮৬ শতাংশ মানুষ প্রয়োজনীয় ব্যয় মেটাতে পারছে না। ৭৮ শতাংশ পরিবারের আয় কমেছে। ৫২ শতাংশ মানুষ খাদ্য গ্রহণ কমিয়ে দিয়েছে। এই অবস্থায় চাল, ডাল, তেলসহ নিত্যপণ্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষ দিশেহারা। তাই নিত্যপণ্যের বাজার সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সরকারকে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ, গণতদারকি কমিটি করে বাজার মনিটরিং, গণবণ্টন চালু ও শ্রমজীবীদের আর্মি রেটে রেশন দিতে হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ২০ রোজার মধ্যে শ্রমিকদের বেতন-বোনাস দেওয়ার দাবি জানালেও এখনও তা পরিশোধ করা হয়নি। ইতিমধ্যে গার্মেন্টস মালিকরা নতুন করে ৬ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা দাবি করেছেন। তারা প্রণোদনা না পেলে বেতন-বোনাস দেওয়া সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন। যা খুবই উদ্বেগের বিষয়। মালিকদের এই দুরভিসন্ধিমূলক অপতৎপরতা মোকাবেলায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তারা।
সমাবেশ থেকে নাটোরের বন পাড়ায় বাম গণতান্ত্রিক জোটের শান্তিপূর্ণ সমাবশে পুলিশী হামলার ও নির্যাতনের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।